সিরিয়ায় সেনা পাঠাতে চায় সৌদি
প্রকাশিত : ০৭:৪১ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৭:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার
সিরিয়ায় সেনাসদস্য পাঠাতে আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে তারা দেশটিতে সৈন্য পাঠাবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রিয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের এ তথ্য জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় একটি আরব বাহিনী গঠন করতে চান। এ ঘটনা জানার পরই সৌদির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এল।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আদেল আল জুবায়ের বলেন, সৌদির সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নতুন কিছু নয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও একই প্রস্তাব দিয়েছেল সৌদি আরব। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
এর আগে ২০১৪ সালে আইএসকে হটাতে বিমান হামলায় অংশ নিয়েছিল সৌদি আরব। তবে স্থল অভিযানে সেনা মোতায়েন বন্ধ রেখেছিল দেশটি। তবে ২০১৬ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়ায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি।
এদিকে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি আরব বাহিনী গঠন করতে চান। যেখানে সৌদি আরব ও আমিরাতের সেনারাও অংশ নেবেন।
এই মুহূর্তে সিরিয়ায় দুই হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে। মূলত সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের স্থলাভিষিক্ত করতেই তিনি এ বাহিনী গঠন করতে চাচ্ছেন। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানান, মিসরও এ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হবে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগ তুলে গত শুক্রবার রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এ হামলায় তিনটি দেশই সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
পেন্টাগনের একটি সূত্র জানিয়েছে, লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পাশাপাশি বি-১ ল্যান্সার বোমারু উড়োজাহাজও ব্যবহার করেছে হামলায়। সিরিয়ার তিনটি স্থানকে লক্ষ্য করে মোট ১০৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এর মধ্যে ৫৯টি টমাহক মিসাইল, বি-১ ল্যান্সার বোমারু উড়োজাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা হয় ১৯টি স্ট্যান্ডঅফ মিসাইল। আল জাজিরা
আর/টিকে