ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চট্টগ্রামে গ্রামীণফোনের ডিজিটাল উদ্যোক্তা কর্মশালা

প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার

চট্টগ্রামের তরুণদের উদ্যোক্তা মনোভাবের উন্নয়ন ও কার্যকর করে তুলতে ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা কর্মশালা’ আয়োজন করে মোবাইলে নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে গতকাল দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মশালা।

বিশ্ব জুড়ে চলমান ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে চট্টগ্রামে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য শহরের বিভিন্ন মহলের সাথে কাজ করছে গ্রামীণফোন। তারই অংশ হিসেবে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয় বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

তরুণ অংশগ্রহণকারীদের ডিজিটাল ব্যবসার সম্ভাবনা এবং কিভাবে সফল ডিজিটাল উদ্যোক্তা হওয়া যায় ইত্যাদি বিষয়ে এ কর্মশালায় জানানো হয়। গ্রামীণফোনের ডিজিটাল টিম এবং কোম্পানির উদ্ভাবন সহায়ক প্ল্যাটফর্ম হোয়াইট বোর্ডের প্রদায়ক গণ বিভিন্ন তথ্যবহুল সেশন পরিচালনা করেন। দলবদ্ধভাবে কাজ করার পর অংশগ্রহণকারীদের চট্টগ্রামের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তাদের ধারণা তুলে ধরার সুযোগ দেয়া হয়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ ইলিয়াস হোসেন সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. আমির মোহাম্মাদ নাসরুল্লাহ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গ্রামীণফোনের চিফ স্ট্র্যাটেজি এন্ড ট্র্যান্সফর্মেশন অফিসার কাজী মাহবুব হাসান, চট্টগ্রাম সার্কেলের প্রধান শাওন আজাদ এবং হেড অফ কমিউনিকেশনস তালাত কামালসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বলেন, ‘একমাত্র সাহসী মানুষরাই উদ্যোক্তা হতে পারেন। সাহস ছাড়া এটা হয়না। জন প্রশাসন কাজকে সহজ এবং আরও কার্যকর করতে সরকারের নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন। তরুণদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা এই বিষয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারে।’

অনুষ্ঠানে কাজী মাহবুব হাসান বলেন, ‘গ্রামীণফোন তার ডিজিটাল যাত্রার সুবিধা অর্জনে সঠিক অবস্থানে আছে, তবে এই যাত্রার সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে দেশটি উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা চায়। আমরা নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের লালন করতে চাই কারণ দেশের ডিজিটালাইজেশন সফল করতে অত্যাবশ্যকীয় ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে তারা আমাদের সহায়তা করতে পারবেন।’

কর্মশালায় অংশ নেয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নঈম উদ্দীন এই কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ায় গ্রামীণফোনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে সমাজকর্ম মনস্ক তরুণদের এধরণের সাহায্য খুব প্রয়োজন ছিল। চট্টগ্রামে অবশ্যই অনেক সমস্যা আছে তবে আজকের কর্মশালায় আমরা শিখেছি যে কিভাবে ডিজিটাল উদ্যাক্তা মনোভাব এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করে এসব সমস্যার সমাধান করতে হয়।’

উল্লেখ্য, গত বছর গ্রামীণফোন চট্টগ্রামের ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, ট্রেড বডি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদ মাধ্যমের সাথে ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট: রোড টু এমপাওয়ারমেন্ট শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে। তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে গ্রামীণফোন ইতোমধ্যেই জিপি একসেলেরেটর ও হোয়াইটবোর্ডের মতো প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে টেলিনর গ্রুপের সাথে টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম এবং ডিজিটাল উইনার্স এর মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।