ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১২ ১৪৩১

যে কারণে বাদ পড়লেন সৌম্য-তাসকিনরা

প্রকাশিত : ১১:৫৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ৬ ক্রিকেটার। বাদ পড়া ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদ এবং সাব্বির রহমান। ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর যে গুঞ্জন ছিল, সেটাও সত্য হয়নি। নতুন চুক্তিবদ্ধ ১০ ক্রিকেটারের কোনো বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি।

বেতন বাড়ানোর যে গুঞ্জন ছিল, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। শেষ পর্যন্ত এক টাকাও বেতন বাড়েনি, অন্যদিকে বোর্ডের সাথে বেতনভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা কমিয়েছে বিসিবি। আগের বছর শিক্ষানবিশ কোটায় দু’জনসহ ১৬ জন বেতনভুক্ত ক্রিকেটার ছিলেন। এবছর থেকে ছয়জনকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে।

বাদ পড়েছেন দুই বাঁ-হাতি ওপেনার সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, দুই মিডল অর্ডার সাব্বির রহমান রুম্মন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। তাদেরকে নতুন চুক্তির বাইরে রাখা হয়েছে। প্রতি বছর যেখানে একজন হলেও নতুন করে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের তালিকায় যুক্ত হন। এবার সে ধারারও ব্যাত্যয় ঘটেছে। আবার ক্যাটাগরি বা শিক্ষানবিশ হিসেবেও নতুন কোনো ক্রিকেটারের সাথে চুক্তি করা হয়নি।

এভাবে হঠাৎ ছয় ক্রিকেটারের চুক্তি থেকে বাদ পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নানা প্রশ্ন উঁকিও দিচ্ছে ক্রিকেটপাড়ায়। বোর্ড পরিচালকদের নিয়ে সভা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। তিনি অবশ্য এক কথায় সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

সৌম্য, ইমরুল, মোসাদ্দেক, সাব্বির, তাসকিন আর কামরুলের বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘পারফরমেন্সই ছিল একমাত্র বিষয়। পারফরমেন্সের কারণে তারা চুক্তি থেকে বাদ পড়েছে।’

বোর্ড এবার আগের মত ঢালাওভাবে চুক্তি না করে টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার দিয়ে চুক্তি করেছে।

বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বোর্ড এবার নীতিগতভাবে আগেই ঠিক করে রেখেছিল, যারা টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য- তারাই চুক্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তাদের রেখেই চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের তালিকা প্রনয়ণ করা হবে।

যাদের চুক্তির আওতায় রাখা হয়েছে তাদের নাম থেকেই বিষয়টি পরিষ্কার। ১০জন হলেন- মাশরাফি, তামিম, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজ, রুবেল ও তাইজুল।

তাদের মধ্যে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, মোস্তাফিজরা এখন তিন ফরম্যাটের দলেই নিয়মিত। প্রায় এক বছর তারা টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত খেলেছেন। আগামী এক বছরও তারা এ তিন ফরম্যাটের দলে থাকছেন।

আবার অফ স্পিনার মিরাজ এবং পেসার রুবেল হোসেনও দুই ফরম্যাটে প্রায় নিয়মিত। আর ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি একদিনের ফরম্যাটে,  বাঁ-হাতি টপ অর্ডার মুমিনুল ও বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল টেস্ট একাদশের নিয়মিত সদস্য। আর সাকিবের সঙ্গে বাঁ-হাতি হিসেবে তাইজুলও টেস্ট দলে নিয়মিত।

অন্যদিকে যে ছয়জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ইমরুল কায়েস শুধু টেস্ট খেললেও তার অবস্থান নিয়মিত নয়। সৌম্য সরকারের অবস্থাও একই। সৌম্য ও সাব্বির তিন ফরম্যাটে সুযোগ পেলেও হাথুরু চলে যাওয়ার পর তাদের তিন ফরম্যাটে খেলার পথ প্রায় রুদ্ধ হয়ে গেছে। ফাস্ট বোলার তাসকিনের সময় এখন মোটেও ভালো যাচ্ছে না। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বিও গত বছরের প্রায় পুরো সময়ই দলের বাইরে।

এসব দিক বিবেচনায় রেখেই তাদেরকে বাইরে রেখে, যারা টেস্ট এবং ওয়ানডেতে প্রায় অপরিহার্য্য সদস্য তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

আর/টিকে