ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ দুর্বল ব্যবস্থাপনায় বিপন্ন হওয়ার পথে

প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০১:০৭ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সোমবার

দুর্বল ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার পথে। হোটেল জোনের বাইরে সৈকত ঘেষেই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এভাবে চলতে থাকলে সৈকতের ইকোলজি ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে পরিবেশ অধিদফতর। সৈকত ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের একটি কমিটি থাকলেও তাদের ভূমিকা নির্লিপ্ত। তবে পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন পাশ হলেই সমস্যার সমাধান হবে। বিশ্বের সবচে বড় সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে শাহপরীর দ্বীপ। ১শ’ ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতে ব্যবহার হয় মাত্র তিন কিলোমিটার। এই অংশের পরিবেশ রক্ষায়ই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। এরইমধ্যে সৈকত ঘেষেই গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত অনেক স্থাপনা। সমুদ্র তীরেই গড়ে উঠছে নতুন নতুন হোটেল। প্রতিমুহূর্তেই সৈকতে পড়ছে  চা-কফির কাপ, বিস্কুট-চিপস-চকলেটের পলিথিন প্যাকেট। এমনকি ইট-পাথর-সিমেন্টও পড়ছে সৈকতে। পর্যটন নগরীতে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই; শহরের আবর্জনা বাকখালি নদী হয়ে পড়ছে সাগরে। চরম অবহেলায় হুমকির মুখে সৈকতের প্রতিবেশ ব্যবস্থা। সৈকত ব্যবস্থাপনায় কমিটি থাকলেও বাজেট না থাকায় কিছুই করার নেই বলে জানালেন কমিটি প্রধান। অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে আশার কথা শোনালেন পর্যটনমন্ত্রী। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রা সচেতন হলে সৈকতকে কিছুটা হলেও পরিস্কার রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন পর্যটন সংশিলষ্টতরা।