ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র নয়, চীন-ই পাকিস্তানের মূল ভরসা

প্রকাশিত : ০৬:২৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কয়েক যুগ ধরে অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল থাকলেও বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটির কাছ থেকে সরে আসছে পাকিস্তান। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানে ২০০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা বন্ধ ঘোষণার পরই পাকিস্তান দেশটির কাছ থেকে অস্ত্র কেনা কমিয়ে দিয়েছে বিস্ময়জনকভাবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র আমদানি কমালেও পাকিস্তান ঝুঁকছে আরেক মিত্র চীনের দিকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার যুগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরতা কমাতে শুরু করে পাকিস্তান সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এফ-১৬ নামের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি আটকে গেলে পাকিস্তান সরকার ঝুঁকতে থাকে চীনের দিকে। সেই সময় তারা চীন থেকে জেএফ-১৭ ক্রয়ে মনোযোগ দেয়।

এদিকে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে পাকিস্তানের সন্দেহ বেড়েই যাচ্ছে। তা ছাড়া ২০১১ সালে পাকিস্তানের মাটিতে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় সম্পর্কের অবনতি। লাদেনকে হত্যার পর দুই দেশের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পর গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে দেয়া ২০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।

দেখা গেছে, ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪২০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয় করলেও মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে দেশটি থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও কম অস্ত্র আমদানি করছে পাকিস্তান। বিপরীতে ২০১০ সালে চীন থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও কম অস্ত্র আমদানি করলেও পাকিস্তান মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার অস্ত্র আমদানি করছে।

যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা তুলে নেওয়ার ব্যপারে এ বিষয়টিই গুরুত্ব রেখেছে বলে জানিয়েছে ফিন্যান্সাল টাইমস।

এমজে/