ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ট্রানজিট ভিসা দেবে দুবাই: ঘুরে আসুন ৭ পর্যটন স্পটে

প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:২২ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার

বিশ্বের এ মুহূর্তে সবচেয়ে উচু ভবনের নাম বুর্জ খলিফা। কেউ এটাকে ডাকেন দুবাই টাওয়ার নামে। শুধু বুর্জ খলিফা-ই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ঝাঁকজমকপূর্ণ স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত। শপিংয়ের জন্য বিখ্যাত দুবাইমল, অতি প্রাচীনকালের নিদর্শন, সমুদ্র সৈকত ও মরুভূমির সৌন্দর্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে দেশটি ট্রানজিট ভিসা প্রদান করতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, আগের তুলনায় সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যটক বান্ধব হতে চায়। বিশেষ করে পর্যটন খাতে দেশটির বিপুল সম্ভাবনা আছে বলে মনে করে দেশটির সরকার। আর পর্যটকদের জন্য দেশটিতে ভ্রমণ সহজ করতে ইতোমধ্যে দেশটির মন্ত্রীপরিষদ পর্যটকদের ভিসা প্রদানে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করছে। এ নীতিমালার আওতায় বলা হয়েছে, যেসব যাত্রী দেশটির দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় স্থানে ঘুরতে চান তাদের ট্রানজিট ভিসা দেওয়া হবে। ট্রানজিট ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে দেশটি আরও সহজ পদ্ধতি নিয়ে আসবে বলেও জানিয়েছে খালিজ টাইমস। তাই যারা বিশ্বের সুউচ্চ ভবনগুলো পরিদর্শনের সাক্ষী হতে চান, তার দেশটির আটটি পর্যটন কেন্দ্রে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারবেন।

দুবাই মল:
বিশ্বে কেনাকাটার জন্য বিখ্যাত শপিং মলের নাম দুবাই মল। পশ্চিম দুনিয়ার অনেকেই কেনাকাটার জন্য দুবাই মলে ঝড়ো হয়। আন্তর্জাতিক সব ব্রান্ডের সমাহার বললেই চোখে যে নামটি ভেসে ওঠে, তার নাম দুবাই মল। তা ছাড়া সেখানে আইস স্কেটিং করতে পারবেন। পেঙ্গুইনদের দেখা মিলবে। আইকনিক বুর্জ খলিফার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারবেন। ভবনের নিচে মাত্র ৪০ দিরহাম খরচে এক ঘণ্টার ঘুমও দিতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৪ মিনিটের পথ এটি।

সমুদ্র সৈকত
নীল জলরাশির গর্জন শুনতে চান, তবে চলে যান দুবাইয়ের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। দেশটিতে রয়েছে অসংখ্য সামুদ্রিক পর্যটন কেন্দ্র। রয়েছে অসংখ্য সৈকত। জেবিআর, বুর্জ বিচ, কাইট বিচ, মামজর বিচ পার্ক, ঘান্টোট বিচ আর জাবেল আলী বিচ পর্যটন প্রেমীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে। বিমানবন্দর থেকে এসব জায়গায় যেতে সর্বোচ্চ ২০-৩০ মিনিট সময় লাগবে।

প্রাচীন দুনিয়ায় ডুব দিন:
বলা হয়ে থাকে মানবসভ্যতার সূচনা হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকা উপমহাদেশে। প্রাচীন যুগের মানুষ দেখতে কেমন ছিল? দুবাই বছরের পর বছর নিজেদের উন্নত থেকে উন্নততর জাতিতে পরিণত করেছে। যুগ যুগ আগে দেশটি দেখতে কেমন ছিল? তা জানরতে দুবাই ক্রিক এবং দ্য আল ফাহিদি হিস্টরিক ডিস্ট্রক্ট মিউজিয়ামে চলে যান। সেখানে ঐতিহ্যবাহী আবরাসে (নৌকা) করেও ভ্রমণ করতে পারেন। বিমানবন্দর থেকে এই স্থানের দূরত্ব ১৯ মিনিট।

প্রকৃতি দর্শন
কেবল প্রকৃতি দেখে চোখ জুড়াতে চাইলে তার ব্যবস্থাও আছে। দুবাই সাফারি পার্কে চলে যান। সেখানে আছে দেশের ২ হাজার ৫০০ প্রজাতির প্রাণী। পাখিদের কোলাহলের সঙ্গে প্রকৃতির মিতালি অবলোকন করতে চলে যেতে পারেন সাফারি পার্কটিতে। বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব ২২ মিনিট।

মেরিনা
আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে দুবাই মেরিনাতে যেতে পারেন। বিশাল বিশাল আকাশছোঁয়া সব ভবন দেখে হতবাক হয়ে যেতে হয়। সেখানে আছে প্যাঁচানো `ক্যানন টাওয়ার`। দুবাই মেরিনা বোর্ড বরাবর হেঁটে যান। সেখানেই পাবেন সবচেয়ে বড় ফেরিস হুইল।

কেনাকাটা
যারা এ কাজে আগ্রহী তাদের স্বর্গ দুবাই। সময় বের করে চলে যেতে পারেন দুবাই মল, মল অব এমিরেটস, ইবনে বতুতা মল, মেরিনা মল, মিরডিফ সিটি সেন্টার, মের্কাতো মল ইত্যাদি স্থান রয়েছে।

মরুর তারকাপুঞ্জ
দুবাইয়ের আকাশ আপনাকে অবাক করে দেবে। দুবাইয়ের ডেজার্ট সাফারি সৌন্দর্যপিয়াসীদের তৃষ্ণা মেটাতে পারে। সন্ধ্যায় চলে যান কোনো মরুতে। সেখানে ঘুরে বেড়ানোর মতো গাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া দিনের বেলা অবলোকন করতে পারেন মরুর উটের সৌন্দর্য। মিটবে তৃষিত হৃদয়ের তৃষ্ণা।

সূত্র : খালিজ টাইমস
এমজে/