মৌলভীবাজারে আগর শিল্পপার্ক স্থাপন করা হবে: আমু
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
রফতানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার মৗলভীবাজারে একটি ‘আগর শিল্পপার্ক’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, রফতানি বাজারে আগর শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এ পার্ক স্থাপন করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরাস্থ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (স্কিট) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা জানান।
বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহাম্মদ ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ ও বিসিকের পরিচালক জীবন কুমার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
শিল্পখাতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির ফলে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ঢাকা শহর থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরাতে কাজ করছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শিল্প কেমিক্যাল কারখানাগুলো অচিরেই সরিয়ে নেওয়া হবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার হাজারিবাগ থেকে সাভার চামড়া শিল্পনগরিতে ট্যানারি স্থানান্তরে সক্ষম হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের একটি বড় অর্জন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চামড়া শিল্প নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার পরও এ খাতে রফতানি বাড়ছে। পাদুকা উৎপাদনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বে অষ্টম স্থান দখল করেছে। ভবিষ্যতে চামড়া শিল্পখাতে রফতানির পরিমাণ তৈরি পোশাক শিল্পখাতকে ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি ওষুধ, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল এবং কেমিক্যাল শিল্পখাতের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে তৎপর হতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সবুজ শিল্পায়নের ধারা জোরদারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাক্সিক্ষত লক্ষ অর্জনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এলাকাভিত্তিক কাঁচামাল ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর নীতি গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো জানান, এ লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে যেখানে বিসিক শিল্পনগরি নেই, সেখানে বিসিক শিল্পনগরির জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে। ফলে এলাকাভিত্তিক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বরিশালে দুইটি চামড়া শিল্পকারখানা অচিরেই গড়ে তোলা হবে। এছাড়া সিরাজগঞ্জেও বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে পর্যায়ক্রমে বিসিক জোন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১২৯টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রফতানি করছে। আমাদের দেশের তৈরি প্ল্যাষ্টিক শিল্প ও পণ্যগুলো দেশে বিদেশে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে।
আর