মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে: যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন নিয়ে তদন্ত চলছে এবং এর ভিত্তিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত স্যাম ব্রাউনবেক।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে ব্রাউনবেক এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “আপনারা আরও পদক্ষেপ দেখবেন।”
তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসে বুধবার কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের মুখে তাদের নির্যাতনের কাহিনী শোনেন ব্রাউনবেক।
রাখাইনে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ ঘটনা ঘটেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেসব শিশুর সঙ্গে তার কথা হয়েছে তাদের প্রত্যেকে বলেছে, তাদের সামনেই পরিবারের কোনো সদস্য বা নিকটাত্মীয়কে ছুরিকাঘাত, গুলি বা হত্যা করা হয়েছে।
“একটি শিশু বলেছে, তার দাদা-দাদি দুজনকেই গুলি করে হত্যা করতে দেখেছে সে। এটা ভয়াবহ সহিংসতা। মায়ের সামনেই তার ১২ বছরের মেয়েকে কেটে ফেলা হয়েছে।”
ইমামকে পিটিয়ে নারীদের ধর্ষণের ঘটনা দেখতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র আগেই এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধন’ আখ্যায়িত করে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন চালু করেছিল বলে জানান বিশেষ দূত ব্রাউনবেক।
গত ২৫ অগাস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী এই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া মিয়ানমারের জেনারেল মং মং সোয়েসহ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রাউনবেক বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে আলোচনার সময় একজন ছাড়া সবাই বলেছে মুসলিম হওয়ার কারণেই তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিভাগের দায়িত্বে থাকায় সুনির্দিষ্টভাবে রোহিঙ্গাদের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
“এটা ধর্মীয় সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন। আমরা এর তদন্ত চালিয়ে যাব।”
তদন্ত এগিয়ে চলায় ‘নতুন পদক্ষেপ আসছে’ বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে তাদের সম্মতি, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে।
এসি