ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শপথ নিলেন কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত : ১০:৪৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৪৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন মিগেল দিয়াস-কানেল। শপথ নেওয়ার পর দেওয়া বক্তব্যে কানেল বলেন, কিউবায় পুঁজিবাদের কোনো স্থান নেই। দেশটিতে পুঁজিবাদ ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, যারা দেশটিতে পুঁজিবাদ ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে, তাঁদের এ দেশে কোনো স্থান নেই।

বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পর উদ্বোধনী ভাষণে মিগেল বলেন, তিনি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে কিউবা বিপ্লবের গুরুত্ব ধরে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান। একইসঙ্গে পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন। আর পরিবর্তন আনতে হলে, কেবল গণভোটের মাধ্যমেই করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভাই ফিদেল ক্যাস্ত্রো অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ২০০৮ সালে কিউবার ক্ষমতায় এসেছিলেন রাউল। নতুন প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস-কানেল তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গত পাঁচ বছর তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৯ সালের বিপ্লবে মার্কিন মদদপুষ্ট একনায়ক বাতিস্তাকে উৎখাতের পর ৬ দশক ধরে কিউবা সমাজতন্ত্রের অধীনে রয়েছে।
রাহুল ক্যাস্ত্রো ১৯৭৬ পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সংবিধানে প্রেসিডেন্টের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়ায় ওই বছরই পদ বদলে বসেন রাষ্ট্রের শীর্ষপদে। যার পরিসমাপ্তি ঘটে ভাই রাহুল ক্যাস্ত্রোর হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর। গত এক দশক ধরে দেশ পরিচালনা করা ৮৬ বছর বয়সী রাহুল সম্প্রতি ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই সমাজতন্ত্রীপন্থী এই নেতাকে বেঁচে নেয় দেশটির সংসদ।

১৯৬০ সালে জন্ম নেওয়া মিগেল তরুণ বয়সেই যোগ দেন সান্তা ক্লারার ইয়াং কমিউনিস্ট লীগে। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িৎ প্রকৌশল পড়ানোর সময় থেকে তার বিকাশ দৃশ্যমান হতে থাকে। ৩৩ বছর বয়সে তিনি ইয়াং কমিউনিস্ট লীগের দ্বিতীয় সম্পাদক নির্বাচিত হন। মিগেলের ‘মতাদর্শগত দৃঢ়তা’র প্রশংসা শোনা গেছে রাউলের কণ্ঠেও। তবে রাউল প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে গেলেও ২০২১ সালের পরবর্তী কংগ্রেস পর্যন্ত কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান থাকবেন বলে জানা গেছে। আর পর্দার আড়ালে থেকে তিনিই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র: রয়টার্স
এমজে/