প্রথম প্রান্তিকে ৩১২০ কোটি টাকা আয় গ্রামীণ ফোনের
প্রকাশিত : ০৯:৪১ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে তিন হাজার ১২০ কোটি টাকা আয় করেছে দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোন। গত বছরের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে এই প্রবৃদ্ধির হার শতকরা দুই শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রান্তিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, গ্রামীণ ফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ছয় কোটি ৭৫ লক্ষ। এদের মধ্যে তিন কোটি ২২ লক্ষ গ্রাহক ডাটা অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠানটির আয় করা তিন হাজার ১২০ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি কর প্রদানের পর প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা হয় ৬৪০ কোটি টাকা। পাশাপাশি নিজেদের ব্যবসার বিস্তারে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গ্রামীণ ফোন। ফোর-জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরাপত্তা ফি এবং নেটওয়ার্ক বিস্তারে এই অর্থ বিনিয়োগ করে গ্রামীণ ফোন।
প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের মধ্যে গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে আয় হয় ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। পাশাপাশি ভয়েস কল থেকে গত বছরের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধি পায় প্রায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণ ফোনের নতুন গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পায় প্রায় ২১ লক্ষ যা ডিসেম্বর ২০১৭ এর তুলনায় ৩.৩% বেশি। আর চলতি প্রান্তিকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ লক্ষ। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহকের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন,"আমরা নতুন স্পেকট্রাম ও তরঙ্গ নিরপেক্ষতার সহায়তায় সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা প্রদানে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ৪জি সেবা চালু করি। নেটওয়ার্কের মানের ক্ষেত্র আমাদের উচচতর অবস্থান আরো সংহত করতে একটি দৃঢ় নেটওয়ার্ক বিস্তার ও আধুনিকায়ন পরিকল্পনা আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশেও এই প্রান্তিকে আমরা আয় ও গ্রাহক প্রবৃদ্ধি দেখেছি। আমরা বাজারে ভয়েস ও ডাটার বেশ কিছু প্রাসংগিক অফার ছেড়েছিলাম যা রাজস্ব আয়ের ভিত্তি এবং ব্যবহার বাড়িয়েছে।’
তবে এতকিছুর পরেও চলতি প্রান্তিকে গ্রামীণ ফোনের নিট মুনাফা কমেছে প্রায় আড়াই শতাংশ। ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মুনাফা মার্জিনে প্রতিষ্ঠানটির নেট মুনাফা হয় ৬৪০ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৭৪ পয়সা। গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে সালে সরকারী কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম ক্রয়, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা এবং লাইসেন্স ফি হিসেবে ২৭৫০ কোটি টাকা দিয়েছে যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৮৮ শতাংশ।
গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, ‘গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে স্বাস্থ্যকর রাজস্ব বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল অর্জন করেছে। এই অর্জন এসেছে ৪জি চালু করার জন্য, বেশি গ্রাহক সংগ্রহ এবং ডিজিটাল সার্ভিস সমূহের জন্য পেশাদারী ফির জন্য বেশি বিনিয়োগের প্রেক্ষাপটে। " তিনি আরো বলেন যে, " উন্নত গ্রাহক অভিজ্ঞতা এবং মার্কেট অফারে আমাদের বিনিয়োগ ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে।’
এদিকে গ্রামীণফোন গত ১৯ এপ্রিল সকল নিয়ম কানুন মেনে ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সভায় অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারগণ ২০১৭ সালের জন্য ২০৫ শতাংশ মোট নগদ লভ্যাংশ (১০৫% অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ সহ) অনুমোদন করেন।
//এস এইচ এস//এসি