ঢাকা, শুক্রবার   ১০ জানুয়ারি ২০২৫,   পৌষ ২৭ ১৪৩১

‘আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই’

প্রকাশিত : ০৯:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:০১ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তাঁর কোন বিদেশি পাসপোর্ট নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন এবং খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এ মন্তব্য করেন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, ‘সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, আমার কোনো বিদেশী পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সঙ্গে আমার সবুজ বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি’।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে উদ্ধৃত করে রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে বিএনপি নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্ট হস্তান্তর করে তাঁর নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। এরপর শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। তারেক রহমানের `নাগরিকত্ব বর্জন` নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি প্রত্যাখ্যান করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।

এরপর সোমবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁর বাসায় পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে তাঁর পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন।

শাহরিয়ার আলম প্রশ্ন তোলেন, " এর অর্থ কী দাঁড়ায়? ... আমি মনে করি এটি হচ্ছে নাগরিকত্বকে অস্বীকার করা।" এনিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন নিজের ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ বিএনপির কড়া সমালোচনা করেছেন।

এদিকে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং তারেক রহমানের আইনজীবী কায়সার কামাল বিবিসি বাংলাকে বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এনিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে তারেক রহমানের আইনজীবীর পক্ষ থেকে।

লিগ্যাল নোটিস পাওয়ার কয়েক-ঘণ্টা পরেই সংবাদ-সম্মেলন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মি: আলম বলেন, তিনি বিষয়টি আইনগত-ভাবে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত।

সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমজে/