বয়স না বাড়া নিয়ে চিন্তিত সিমি
প্রকাশিত : ১১:০১ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার
ব্রিটেনের ৪১ বছর বয়সী সিমি মুনসি। তিনি ভীষণ বিপদে পড়ে গেছেন তার বয়স নিয়ে। গাণিতিকভাবে তার বয়স বাড়লেও শারিরীকভাবে মোটেও বাড়ছে না। কোনো এক রহস্যময় কারণে তার চেহারা আটকে গেছে বিশের কোটায়।
সবাই তাকে মনে করে ২০ বছরের তরুণী। কারণ বিশের পর থেকে একটুও বদলায়নি তার চেহারা। অথচ তার স্কুল ও কলেজ জীবনের বান্ধবীদের চেহারায় রীতিমতো ‘মুরব্বী’ভাব চলে এসেছে।
তার ছেলের বয়স (উপরের ছবিতে সিমির সঙ্গে) ২০ বছর, নাম আমিন। সিমির সমস্যা হলো, ছেলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোনো ছবি পোস্ট করতে পারেন না। ছবি পোস্ট করলেই ছেলে আমিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে সবাই ভুল বোঝেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ বয়ফ্রেন্ড মনে করে রসালো মন্তব্য করেন। আবার কেউ‘ভাই’ নাকি অন্য কোনো আত্মীয় তা জিজ্ঞাসা করেন। আদরের সন্তানকে নিয়ে মার্কেট, পার্ক কিংবা হোটেলেও যেতে পারেন না। লোকে বাকা চোখে তাকায়।
এ বিষয়ে সিমি বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমার বয়সটা একটা জায়গাতে এসে থেমে গেছে। আমার ২০ বছরের ছবি এবং বর্তমান ছবি পাশাপাশি রাখলে কেউ পার্থক্য খুঁজে পায় না। মনে করে দুটো একই সময়ের।
তিনি বলেন, প্রথমে আমি বিষয়টাতে বেশি গুরুত্ব দিতাম না। ছেলের জন্মের ১০ বছর পরেও সবাই বলতো আমার চেহারায় কোনো পরিবর্তন আসছে না। আরো ১০ বছর পার হওয়ার পরেও লোকের মুখে একই কথা। এখন আমি নিজেও বিষয়টা বুঝতে পারি।
মজার ব্যাপার হলো, ‘চিরযৌবন’ প্রাপ্তির পেছনে তার কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে নেই। তিনি রূপচর্চা করেন না। প্রাকৃতিক স্বাভাবিক খাবার খান।
জীবনে কখনো এলকোহল জাতীয় কিছু পান করেননি। গ্রিন টি পান করেন আর প্রচুর পানি পান করেন প্রতিনিয়ত। জিমে গিয়ে ব্যায়াম করেন। আয়নায় নিজের মুখ কমই দেখা হয়।
সিমি মুনসি জানালেন, তার বাবা এবং মাকেও বয়সের তুলনায় তরুণ লাগে। তাই বিষয়টা জিনগত বলে মনে করছেন তিনি। ছেলেকে নিয়ে অসংখ্যবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। ভুল সংশোধন করে দেওয়ার আগে অধিকাংশ লোকেই ওকে আমার বয়ফ্রেন্ড মনে করে।
সিমি আরো জানান, পোল্যান্ডে একবার বেড়াতে গিয়ে হোটেল বুকিংয়ের সময় আমিনকে যখন আমার ছেলেপরিচয় দিলাম তখন বুকিং অফিসার কিছুইতেই সেটা মানতে চাইছিলেন না। তিনি জোর করে স্বীকার করানোর চেষ্টা করেন যে আমরা হয় প্রেমিক-প্রেমিকা নয়তো স্বামী-স্ত্রী! এতে আমার ছেলে (আমিন) খুব বিব্রত হয়েছিল।
সূত্র: ডেইলি মেইল
আর / এআর