ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইয়েমেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে সৌদি জোটের হামলায় নিহত ২০

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার

ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধানীন জোটের হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর ইয়েমেনের বনী কায়েস জেলায় পৃথক দুই বিমান হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন আরও ৪৬ জন।

গত রবিবারের এই বিমান হামলায় নিহত এবং আহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। জেলার হাজ্জাহ নামক শহরে একটি বিয়ে বাড়িতে বিমান হামলা হলে এই আহত-নিহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ঠিক কতজন শিশু আছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া না গেলেও আহতদের মধ্যে ৩০ জনই শিশু।

বিমান হামলায় আক্রান্ত এলাকার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, একটি শিশু তাঁর বাবার মৃতদেহ জড়িয়ে বসে আছে। ভিডিও রেকর্ড ধারণকারী ব্যক্তি শিশুটিকে বারবার সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

তবে বিমান হামলার দায়ভার এখনও নেয়নি সৌদি জোট। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবার কথা জানিয়েছে রিয়াদ।

সৌদি সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, “বিষয়টিকে আমরা খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। আমরা পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে এর তদন্ত করব”।

এর আগেও ইয়েমেনে বেসামরিক স্থাপনা এবং মানুষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ আছে সৌদি জোটের বিপক্ষে। ২০১৫ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখেও একটি বিয়ে বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়েছিল সৌদি এবং তাদের মিত্র দেশগুলোর জোট। আল-ওয়াজিয়াহ প্রদেশের রেড সী ভিলেজে সেবারের বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১৩১ জন মানুষ।

ঠিক দশ দিন পর অক্টোবরের ৭ তারিখেও আবারও একটি বিয়ে বাড়িতে বিমান হামলা চালানো হলে নিহত হয় ৪৩ জন। ধাম্মার প্রদেশে সানাবান গ্রামে চালানো হয়েছিল ঐ হামলা।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইয়েমেনে হুদী বিদ্রোহীরা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দেশটির স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মনসুর হাদি ইয়েমেন থেকে পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। ২০১৫ সাল থেকেই হুদি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি জোট।

সূত্রঃ আল-জাজিরা

//এস এইচ এস// এআর