উত্তেজনা কমাতেই মোদির চীন সফর
প্রকাশিত : ০৯:২৭ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৯:২৭ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার
ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমাতে চীনা সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময় দেশটিতে সফর করছেন, যখন সংখ্যালঘুদের উপর ধর্ষণকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন। এ সপ্তাহের শেষ দিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে এক ঘরোয়া শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হতে যাচ্ছেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রীক দেশের প্রধান এ ব্যক্তি।
আগামী শুক্র ও শনিবার চীনের হুবেইপ্রদেশের রাজধানী য়ুহান শহরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। মাত্র কয়েক মাস আগেই ভারত ও চীনের সেনারা দোকলামে দিনের পর দিন মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। এমনকি দোকলাম ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই দুই দেশের শীর্ষ নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় মুখোমুখি বসতে পারবেন, তা অনেকে কল্পনায়ও ভাবতে পারেনি।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিওর বৈঠকে যোগ দিতে বেইজিং গিয়ে দুদিন আগে ভারতের পরারাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নরেন্দ্র মোদি ও শি জিন পিংয়ের মধ্যে আসন্ন বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেন। এটি অনেকের কাছেই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। দোকলাম সীমান্তে টানা ৭২ দিন ধরে সামরিক উত্তেজনাই শুধু নয়, এ বছরেই চীন নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে ভারতের প্রবেশে বাধা দিয়েছে, জাতিসংঘে ভেটো দিয়ে বারবার আটকে দিয়েছে জয়স-ই-মোহাম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার চেষ্টা।
ড. আচারিয়া বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে এখন যে আবার পুনর্গঠন করার কথা বলা হচ্ছে, দোকলাম সংকটের তলানিটাই কিন্তু তাকে গতি দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার মতে দোকলামটা দুদেশের জন্যই ছিল একটা ওয়েকআপ কল। সম্পর্কটা যাতে আরও খারাপের দিকে না গড়ায়, দুই নেতাই সেই সুযোগটা নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অর্থনীতিতে শুল্ক বসানো নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, এই অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন কিংবা সন্ত্রাসবাদ- কথা বলা দরকার তো কত কিছু নিয়েই। কিন্তু বাস্তবটা এটিই, চীন ও ভারত এতদিন এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। কিন্তু আমার ধারণা, য়ুহানের সামিট থেকে দুই দেশ আবার এগুলো নিয়ে কথা বলতে শুরু করবে।
এদিকে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে। বিশেষ করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকলে, পাকিস্তানের নেতারা বেইজিংয়ের দিকে ঝুকে পড়ে। বিশেষ করে, অস্ত্র আমদানিসহ সব ক্ষেত্রেই চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এমন অবস্থায় পাকিস্তানকে সামাল দিতে হলেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয় জরুরি পাকিস্তানের, এমন তাগিদেই নয়াদিল্লী বেইজিংয়ের দিকে নজর দিয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
সূত্র: বিবিসি
এমজে/