অতিরিক্ত বাস্তববাদী সঙ্গী থেকে থাকুন সাবধানে
প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার
বিয়ের মাধ্যমে শুধু দু’টি মানুষই একসঙ্গে বসবাস করে না বরং তাদের জীবন দর্শন, চিন্তাভাবনাও পাশাপাশি অবস্থান করে। অনেক সময় দম্পতিদের মধ্যকার নিজেদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে নিজেরা মানিয়ে নিতে পারেন না। অনেকেই আবার বৈষয়িক বাস্তব দিকগুলোর প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করেন। বাস্তবিক লক্ষ্যের পিছু ছুটতে গিয়ে অনেকেই পরিবারে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। আর এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পরে বৈবাহিক জীবনে ও সম্পর্কে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, জীবনের অন্যান্য দিকগুলোর থেকে যখন টাকা এবং ক্ষমতার মতো বিষয়ে একজন মানুষের মনযোগ এবং ছুটে চলার গতি বেড়ে যায় তখন তা ক্ষতি করে দাম্পত্য জীবনের।
দম্পতিদের মধ্যকার যোগাযোগ, সমস্যার সমাধান কিংবা ঘনিষ্ঠতার থেকে বাস্তবিক সফলতা অর্জনের প্রতি বেশি মনযোগী হতেই তাদের দেখা যায়। আর যে কারণে বিয়ের মতো সামাজিক বন্ধনের গুরুত্ব এবং সফলতার অনুভূতির প্রতি তারা উদাসীন হয়ে পরেন।
ওহাইয়ো এর ব্রিঘাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক দলের প্রধান অ্যাশলে লি ব্যারন জানান, “যখন দম্পতিদের কোন একজন অথবা দুইজনই নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কের দায়িত্ব-কর্তব্যের চেয়ে অর্থ-বিত্তের মতো বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তখনই বৈবাহিক জীবনে অশান্তি দেখা দেয়”।
শুধু তাই নয়, বাস্তববাদী চিন্তাভাবনার ফলে একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়ার পরিবর্তে প্রভাব বিস্তার করার মানসিকতার জন্ম নেয় বলেও মন্তব্য করেন অ্যাশলে।
অন্যভাবে বললে, বাস্তববাদী মানসিকতার ব্যক্তিরা তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে বেশি সময় থাকার চেয়ে অর্থ উপার্জন বা এধরনের লক্ষ্য অর্জনেই বেশি ‘সুখ’ অনুভব করেন। নিজেদের বৈবাহিক জীবনকে সাফল্যমন্ডিত করার চেয়ে নিজের লক্ষ্য অর্জনই তাদের কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে থাকে।
অ্যাশলের সহকর্মী অধ্যাপক জ্যাসন ক্যারল বলেন, “অনেকেই তাদের এই বাস্তববাদী মানসিকতার বিষয়ে সচেতন থাকেন না। তাই তারা জানেন না যে, বাস্তবিক বিষয়াদি অর্জনে তারা ঠিক কতটা উদগ্রীব। আর তাদের এই মানসিকতার ফলে তাদের সম্পর্কে যে নেতিবাচক প্রভাব পরে সেই বিষয়েও তারা সেই অর্থে সচেতন থাকেন না”।
১৩১০ জন বিবাহিত ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালিয়ে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছান গবেষকেরা। তাদেরকে বাস্তবিক লক্ষ্য, বিয়ের বিষয়ে তাদের ধারণা, গুরুত্ব এবং বৈবাহিক জীবনে সফলতার সংজ্ঞা এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত বেশকিছু প্রশ্ন করা হয়। ঐসব ব্যক্তিদের দেওয়া প্রশ্নের উত্তর থেকেই গবেষণার এমন ফলাফল টানেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
//এস এইচ এস// এআর