ঐতিহাসিক জব্বারের বলি খেলায় চ্যাম্পিয়ন জীবন বলি [ভিডিও]
প্রকাশিত : ০৮:৩১ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১১:১১ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮ বুধবার
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জব্বারের বলি খেলায় বিজয়ী হয়েছেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম জীবন। কুমিল্লা জেলার শাহজালাল বলিকে হারিয়ে শিরোপা জেতেন তরিকুল। শক্তিশালী প্রতিযোগী শাহজালালের সঙ্গে ১৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ড লড়াই করেন তরিকুল বলি। সমানে-সমানে লড়ে যাচ্ছিলেন তরিকুল ও শাহজালাল। শক্তি প্রয়োগ করে শাহজালাল খেলে গেলেও কৌশলী ছিলেন তরিকুল।
দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের পৃষ্ঠপোষকতায় আজ বুধবার (২৫ এপ্রিল) লালদিঘি মাঠে বিকেল সাড়ে চারটায় ঐতিহ্যবাহী এ খেলার ১০৯তম আসর শুরু হয়। ফাইনালে মুখোমুখি হন তরিকুল বলি এবং শাহজালাল বলি। লালদীঘির ময়দানে বালি দিয়ে তৈরি চার ফুট উঁচু বলিখেলার গ্রাউন্ডে আয়োজিত হয় এ লড়াই। প্রতিবারের মতো এবারও সাধারণ, চ্যালেঞ্জিং ও চ্যাম্পিয়ন- এই তিনটি বাউটে সারা দেশ থেকে আসা ১৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১০২ জন বলি অংশ নেন।
সাধারণ ধাপের বলিখেলা শুরু হয় ৪টা ২৫ মিনিটে। চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ফাইনাল শুরু হয় ৫টা ৩২ মিনিটে। এ বছরও খেলা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক। তাকে সহায়তা করেন ইকবাল বালি, জাহাঙ্গীর ও লেদু।
এর আগে বিকেল ৪টায় বলিখেলার উদ্বোধন করেন সিএমপির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুল হাসান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের রিজিওনাল ডিরেক্টর সৌমেন মিত্র।
খেলা শেষে চসিক মেয়র আ. জ. ম. নাসির উদ্দিন বলেন, “ক্রমশ আধুনিক হতে থাকা আমাদের সমাজে অনেক মূল্যবান লোকজ সংস্কৃতি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে নিয়মিতভাবে জব্বারের বলীখেলা আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলালিংক এবারের আয়োজনে যেভাবে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের স্বনামধন্য বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলির এ ধরনের সহযোগিতা দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।”
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতার-এর সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, “জব্বারের বলীখেলা চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক অমূল্য সাংস্কৃতিক সম্পদ। সময়ের সাথে এই প্রতিযোগিতা হারিয়ে যায়নি, বরং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ঐতিহ্য সংরক্ষণে আমাদেরকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে"।
বাংলালিংক-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর সৌমেন মিত্র বলেন, “ বাংলালিংক-এর ভূমিকা শুধু গ্রাহকদের উন্নত মানের ডিজিটাল সেবা প্রদানের মধ্যে সীমিত নয়। গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আমরা দেশীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারে বিশেষ অবদান রাখতে চাই। এই উদ্দেশ্যেই বাংলালিংক জব্বারের বলীখেলার সাথে যুক্ত হয়েছে। দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতার সাংস্কৃতিক গৌরব প্রচারে পূর্বেও ভূমিকা রেখেছে বাংলালিংক।”
প্রসঙ্গত, এই বাসরের আগের আটটি আসরের পৃষ্ঠপোষকতাও করে বাংলালিংক।
/এসি/