ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহতা তদন্ত যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত : ০১:৪৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রোহিঙ্গা নিধন অভিযানের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল তদন্তকার্যক্রম পরিচালনা করেছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ইতোমধ্যে ১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পুরুষ ও নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিচালিত হত্যা, ধর্ষণ, মারধর ও সম্ভাব্য অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ বিষয়ে ২০ জন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারী এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এই বছরের মার্চ ও এপ্রিলে তারা বাংলাদেশে এসে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের সংগৃহীত তথ্যগুলো ওয়াশিংটনে বিশ্লেষণ করা হবে এবং প্রতিবেদন আকারে আগামী মে অথবা জুন মাসের প্রথম দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করবে কিনা কিংবা মিয়ানমার সরকারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ অথবা আন্তর্জাতিক বিচারের সুপারিশ করতে ব্যবহৃত হবে কিনা তা পরিষ্কারভাবে জানায়নি ওই দুই তদন্তকারী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরু মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। তবে মিয়ানমার শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও রয়টার্সের এক সংবাদে ১০ রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে দেশটি। এরপর বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।

এদিকে আগামী সোমবার মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার দলটির সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমার দলটিকে সেখানে যেতে দেয়নি। রাখাইনে এখনো গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুলডোজার দিয়ে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে হাজার হাজার বসতবাড়ি ধ্বংসের চিহ্ন।

সূত্র: রয়টার্স
এমজে/