কোটা ব্যবস্থা সংস্কার
৩০ এপ্রিল ঢাবিতে ছাত্র-শিক্ষক মতবিনিময়
প্রকাশিত : ০৬:৪৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা ‘তুলে দেওয়ার ঘোষণা’ বাস্তবায়নের দাবি সামনে রেখে ৩০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক মতবিনিময় সভা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর এ ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করছে একদল শিক্ষার্থীরা। গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটাপ্রথা সংস্কারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আসার আগে এ আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, ঢাবির ভিসির বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পাঁচটি মামলা করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুল হক নুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেও কিছু গণমাধ্যম এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করছে।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য ২০ এপ্রিল অনলাইন এবং ২১ এপ্রিল প্রিন্টে ‘টার্গেট সরকার পতন, পিস্তলের গুলি চালিয়ে ছাত্রমৃত্যুর গুজব রটানো’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিক খবর প্রচার করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে প্রকাশিত এই সংবাদ প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে সারা দেশে ওই জাতীয় দৈনিকটি বর্জনসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নুর বলেন, চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি সামনে রেখেই ৩০ এপ্রিল ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক মতবিনিময় সভা করা হবে।
সংগঠনটির আরেক যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান বলেন, কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে, প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার দুই তিন দিনের মধ্যেই এ দাবি বাস্তবায়ন হওয়া উচিত ছিল। যদি এই মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হয় তাহলে ছাত্র সমাজ আবারো রাজপথে নেমে আসবে। আমরা ঘরে বসে থাকবো না।
মামলা দিয়ে আন্দোলনকারীদের হয়রানি না করার আহবান জানিয়ে নুর বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বানচাল করার জন্য বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ভিসির বাড়িতে হামলা চালায়। কিন্তু পুলিশ এবং ঢাবি প্রশাসন কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই ৫টি অজ্ঞাতনামা মামলা দেয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন ও যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসানসহ অন্য নেতারা।
আর