ঢাকা, রবিবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৮ ১৪৩১

পলিসিস্টিক ওভারি থেকে বাঁচতে ডায়েট করুন

প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম নামটি অপরিচিত লাগলেও এই বিষয়ে এখন অনেকের কাছে ধারণা রয়েছে। এটি মূলত হরমোন জনিত সমস্যা। এই রোগটি সাধারণত মেয়েদেরই এই সমস্যাটা দেখা দেয়।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রমে যারা ভোগে, তাদের সবারই প্রথম সমস্যা হচ্ছে ওজন বেড়ে যাওয়া। হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়ার। আবার অবাঞ্চিত লোম বেড়ে যেতে দেখা যায়। এছাড়া এই রোগ ধরা পড়লে টাইপ টু ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হাইকোলেস্টেরল ও হার্টের মত রোগের সমস্যা দেখা দেয়।

তবে চিকিৎসকের পরামর্শমতে, এই রোগের প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে ওজন কমিয়ে ফেলা। আর ওজন কমাতে হলে অবশ্য ডায়েট করা প্রয়োজন। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১২০০ ক্যালোরি থাকা প্রয়োজন। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখবে এবং ওজনও বাড়তে দেবে না। তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক খাবারের তালিকায় যা যা রাখা প্রয়োজন-

সবুজ শাকসবজি

এ সময় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। কেননা এতে রয়েছে ভিটামিন সি, কি, বি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন। মূলত যারা এই রোগে ভুগছেন তাদের খাদ্যতালিকায আয়রন থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও পটাসিয়াম হরমোনের ভালো উৎস। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

দুধ

দুধে যাদের অ্যালর্জি নেই তারা দুধ খেতে পারেন। বাড়িতে তৈরি করা দইও খেতে পারেন। তবে বাইরের নয়। কারণ এ সময় বাইরের খাবার যত এড়িয়ে চলা ভালো ততই মঙ্গল। রাতের খাবারের পর একবাটি ছানাও খেতে পারেন।

মাছ

এ সময় প্রচুর মাছ খান। তবে চর্বিযুক্ত বড় মাছ নয়। ভিটামিন বি ও ডি যুক্ত মাছ খান। ছোট মাছ বেশি করে খান। স্যামন, টুনা মাছ খেতে পারলে ভালো হয়।

ফল

ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার থাকে। তাই যাদের পলিসিস্টিক ওভারি সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন আম, আপেল, লেবু, পেয়ারা, তরমুজ, পেঁপে খেতে পারেন। এর সঙ্গে শুকনো খেজুর খাদ্য তালিকায় রাখুন। তবে এই ফলগুলো জুস করে খাবেন না। গোটা খাওয়ার চেষ্টা করুন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান

লাল আলু, টমেটো, গাজর, পটল খাদ্য তালিকায় রাখেন। এছাড়া লেটুস, পালং, কলমিও থাকবে। বার বার চিনি ছাড়া গ্রিন টি খান। আরও খেতে পারেন আমন্ড, আখরোট।

সূত্র : এই সময়।

কেএনইউ/