সুখী জীবন পেতে রাঙিয়ে তুলুন বেডরুম
প্রকাশিত : ০৮:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৫৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ বৃহস্পতিবার
যৌনতা কিংবা টানা ঘুম, নিজের ঘর নাহলে ষোলো আনা তৃপ্ত হওয়া কঠিন। আর তাই এসব সময় বাড়ির পরিবেশটাকেও মানানসই করে তোলা জরুরি। তাই ঘরের রংটা এমন হওয়া উচিত যাতে আপনার যৌনজীবনে হয়ে উঠতে পারে আরো রঙিন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে ঘরের রং নীল, সে ঘরেই নাকি সবচেয়ে ভাল ঘুম আসে। আর এমন বেশ কয়েকটি রং আছে, যা সঙ্গমের ইচ্ছা বাড়িয়ে তোলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব রঙের রঙিন কাহিনি।
লালচে গোলাপি
এক্কেবারে প্রেমের রং। বিশেষ করে মহিলাদের মন জয় করার আদর্শ রং এটি। দেওয়ালের একদিকের রং লালচে গোলাপি হলে অন্যদিকটি সাদাই রাখুন। এতে যেমন ঘর আলোকিত হয় তেমনই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও মনে হয়। চেষ্টা করুন যে দেওয়ালটিতে লালচে গোলাপি রংটি করবেন, সেদিকেই খাটটি রাখতে।
গাঢ় লাল
নবদম্পতির বেডরুমের দেওয়ালে এমন রং হলে আর কথাই নেই। কারণ লাল মানেই ভালবাসা-সোহাগ। তাই দুষ্টু-মিষ্টি প্রেম জমে উঠেতে সময় লাগবে না। একটি দেওয়াল গাঢ় লাল করলে অন্যটি অফ হোয়াইট কিংবা হালকা হলুদ করতে পারেন। এক্ষেত্রে মেঝেতে চকোলেট রঙের কার্পেট ব্যবহার করলে ঘরটি নিঃসন্দেহে রোম্যান্টিক হয়ে উঠবে। সঙ্গে নিয়ন আলোর ব্যবস্থা থাকলে পার্টনার প্রেমে হাবুডুবু খেতে বাধ্য।
কমলা
ঠিক গাঢ় কমলা বা গেরুয়া নয়। মধুর যে রংটি হয়, সেটিও দম্পতিদের ঘরের জন্য হতে পারে আদর্শ রং। মার্কিন মুলুকের একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, কাপলরা সাধারণত এই রঙের ঘরেই মিলনে সবচেয়ে বেশি সুখী। তবে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন, এই রং ঘরে রোদ ঢুকতে বাধা দেয়। এক্ষেত্রে আসবাবের রং কালো না করাই শ্রেয়। সাদা অথবা কাঠের রং ব্যবহার করা যেতে পারে।
কালো
সচরাচর কারও বাড়ি এমন রং দেখা যায় না। মনে হতেই পারে কালোও আবার রং নাকি। কিন্তু হালফিলে ঘর রং করার পরিকল্পনা থাকলে একটি দেওয়ালে একবার ট্রাই করেই দেখুন না। বিপরীতে অবশ্যই রাখবেন সাদা। বিছানার চাদরটি সাদা হলে বেছে নিন কালো কার্পেট। অনেকে আবার দেওয়ালে কালো রং না করে, মাথার দিকের একটি দেওয়াল কালো প্লাই দিয়েও তৈরি করে থাকেন। যদি ভাবেন সাদা-কালোর গেড়োয় যৌনজীবনও ফ্যাকাসে হয়ে যাবে, তাহলে আপনার ধারণা এক্কেবারে ভুল। ব্ল্যাক বিউটির একটা আলাদা আকর্ষণ ও মাধুর্য থাকে। আর সেই অনুভবই হবে এই ঘরে। কালো দেওয়ালের সামনে সঙ্গিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার উদ্দামতা বাড়বে, কমবে না।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
একে//