ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

২০২১ সালের মধ্যে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা হবে

প্রকাশিত : ০৯:৪৭ এএম, ৩ জুন ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৪৭ এএম, ৩ জুন ২০১৬ শুক্রবার

২০২১ সালের মধ্যে সব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এলক্ষ্যে এবারের বাজেট পরিকল্পনায় বাড়ানো হয়েছে উপকারভোগীর সংখ্যা। প্রস্তাবিত বাজেটে এ’ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯ হাজার ৮শ’ ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া, বেসরকারি খাতে পেনশন স্কিম চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। প্রস্তাবিত বাজেটে সব মিলে নতুন ৬০ লাখ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সামাজিক নিরাপত্তা কিংবা সামাজিক সুরক্ষা যে নামেই হোক, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কল্যাণে বাজেটে প্রথম এই খাতে বরাদ্দ রাখে শেখ হাসিনার সরকার। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বেশ কয়েকটি দরিদ্র-বান্ধব উদ্যোগ নেন তিনি। এরপর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এর সাথে যোগ হয় কাবিখা, ভিজিএফ, টিআর, জিআর কার্যক্রম। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ভাতার পরিমাণ আর উপকারভোগীর সংখ্যা। এবারের বাজেটে বয়স্ক ভাতা ভোগীর সংখ্যা ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩১ লাখ ৫০ হাজারে। বিধবা ভাতা ভোগীর সংখ্যা হবে ১১ লাখ ৫০ হাজার। তাদের ভাতা ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীর সংখ্যা ৯০ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ লাখে উন্নীত করা হচ্ছে। এছাড়া, ১ লাখ ৮০ হাজার ৩০০ জন দরিদ্র মা ভাতা পাবেন। প্রতিবন্ধী ভাতা ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৬০০ টাকা। ২৫ শতাংশ বেড়ে তাদের সংখ্যা হবে ৭ লাখ ৫০ হাজার। হিজড়াদের ভাতা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৬০০ টাকা। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বরাদ্দ ১০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। এছাড়া, উপকূলীয় অঞ্চলের দুর্যোগ মোকাবেলায়ও বিশেষ বরাদ্দ থাকছে বাজেটে। ২০২১ সালের মধ্যে বেসরকারি পেনশন স্কীম চালুর কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায়। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে সব মিলে ৬০ লাখ মানুষ আসবে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায়।