হিল্ল্যা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রংপুরে একটি পরিবার দুই বছর ধরে একঘরে
প্রকাশিত : ১০:৩৬ এএম, ৫ জুন ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১০:৩৬ এএম, ৫ জুন ২০১৬ রবিবার
হিল্ল্যা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি পরিবারকে দুই বছর ধরে একঘরে করে রেখেছে স্থানীয় ফতোয়াবাজরা। যেতে দেয়া হয় না হাট-বাজার, মসজিদে। সন্তানের লেখাপড়াও বন্ধ। এই নির্যাতন-নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করে সুষ্ঠু বিচার চেয়েছে পরিবারটি।
রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর ইউনিয়নের নগর বড়াইবাড়ি গ্রাম। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সমিতির ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে পরিবারে ঝগড়ার একপর্যায়ে, স্ত্রী শিরিনা বেগমকে মৌখিক তালাক দেন নুর ইসলাম। ঐ সময়ই স্থানীয় কয়েক মোড়ল, মসজিদের ইমামসহ ফতোয়া দেন, স্ত্রী শিরিনা বেগমকে ‘হিল্ল্যা বিয়ে’ অর্থাৎ -অন্য পুরুষের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে, সেখান থেকে তালাক নিয়ে, তবেই স্বামী নুর ইসলাম সংসার করতে পারবেন। এ সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়ায় পরিবারটিকে একঘরে করে দেয় গ্রামের মাতব্বর।
প্রায় দু’বছর ধরে গ্রামের সব ধরনের সামাজিক কার্যক্রম ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত পরিবারটি।
হিল্ল্যা বিয়ে না করলে, সিদ্ধান্তের নড়চড় হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মাতব্বর।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, পরিবারটিকে এভাবে নির্যাতন করা বেআইনি।
পরিবারটিকে রক্ষায় ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।