বিশ্বের সর্বাধিক শিশু বলি হয়েছিল ৫৫০ বছর আগে
প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার
দেবতাদের খুশি করতে কত কিছুই না বলি দেয় ভক্তরা। এমন দেবতাদের খুশি করতে মানুষ বলি দেওয়া হতো। কখনো দেওয়া হতো শিশুদের। তেমনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতেও দেবতাদের খুশি করতে শিশু বলির ঘটনা অতীতে ছিল অন্যতম। সম্প্রতি দেশটির প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটি গণকবর থেকে শিশুদের মৃতদেহ আবিষ্কার করে এমনটিই জানিয়েছেন।
ওই গণকবর থেকে অন্তত ১৪০ শিশুর কঙ্কাল উদ্ধার করে প্রত্নতত্ত্ববিদরা। আজ থেকে ৫৫০ বছর আগে পেরুর উত্তর উপকূলীয় অঞ্চলে ওই শিশুদের একসঙ্গে বলি দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ওই সময় তাদের একটি কবরে গণকবর দেওয়া হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের বয়স ৫ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তবে তাদের বেশিরভাগের বয়স ৮ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
প্রশান্ত মহাগাগরের কাছে প্রাচীন চিমু সভ্যতার কেন্দ্রে ওই গণকবরের হদিস পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। শুধু তাই নয়, ওই গণকবরের পাশ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এক বিশেষ প্রজাতির প্রাণী যার নাম লামাস। ওই সময় একসঙ্গে অন্তত ২০ লামাসকে বলি দেওয়া হয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষক দলের প্রধান জন ভেরানো বলেন, আমি কখনো ভাবতে পারিনি এত শিশুকে একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে দেশটিতে প্রথম মানব বলির ঘটনা প্রকাশ হয়। ওই সময় ৪০ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরানো মন্দিরের ভেতর খুঁড়ার পর ওই দেহগুলো উদ্ধার হয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, উদ্ধার কঙ্কালগুলো কাটা ছিল। তাদের সবার বুকের পাজর ছিদ্র করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুদের বুক থেকে হৃৎপিণ্ড বের করে এনে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
এমজে/