রাজিবের যৌক্তিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আশাবাদী আইনজীবীরা
প্রকাশিত : ০৯:৪৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার
মানুষের জীবনের বিনিময় মূল্য হয় না; হিসেবে-নিকেষও সম্ভব নয়। তারপরও সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে ক্ষতিগ্রস্তের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থান, আয়ূষ্কাল, কর্মক্ষেত্র, জীবনের সম্ভাবনাসহ বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে থাকেন আদালত। তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিবের ক্ষেত্রেও তেমনই যৌক্তিক ক্ষতিপূরণের আদেশের বিষয়ে আশাবাদী আইনজীবীরা।
তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল রাজিব হোসেন। পিতা-মাতাহীন কষ্টের সংসারে, টিউশনি আর কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে নিজের ও দুই ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি।
৩ এপ্রিল সেই পথ চলায় হয় ছন্দপতন। গণপরিবহনের নৈরাজ্য আর অব্যবস্থাপনায়, প্রথমে বিচ্ছিন্ন হলো হাত। আর ১৩ দিন পরে চিরতরেই নিভে গেল জীবনের অলো।
ভবিষ্যত স্বপ্নগুলো ভেঙ্গেচূড়ে চূরমার। দুই ভাইয়ের দুশ্চিন্তা তাড়া করছে, রাজিব ছাড়া চলবে কিভাবে সামনের দিনগুলো।
পরিবারের প্রধান উপার্জক্ষম মানুষটির অনুপস্থিতি, ভাবাচ্ছে স্বজনদেরও। যদিও ৪ এপ্রিল এই ঘটনা আদালতের দৃষ্টিতে আনা হলে অঙ্গহানির ক্ষতিপূরণে ১ কোটি টাকা দেওয়ার রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলটি এখনও বলবৎ আছে, জানালেন রীট-কারী আইনজীবী।
তবে, যেহেতু রাজিব বেঁচে নেই, তাই ক্ষতিপূরণ আরও যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের প্রয়োজন আছে বলেই মনে করেন আইনজীবীরা।
রাজিবের মামলা গতানুগতিক, ক্ষতিপূরণ মামলার মত বিবেচনা করলে চলবে না, বলেই মত বিশ্লেষকদের। ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের কৌশল আরও সময়োপযোগী করে আইনে সন্নিবেশিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
একে//