বোনের প্রভাবে বদলে গেলেন কিম জং!
প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৯:৫৭ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
চলতি বছরের শুরুতে উ. কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের যুদ্ধংদেহী মনোভাব উত্তাপ ছড়িয়েছে বিশ্বে। শুধু চলতি বছরেই নয়, ক্ষমতায় বসার পর থেকেই একের পর এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে গেছেন উন।
এবারের নববর্ষের বার্তায় উন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর মতো পারমাণবিক বোমার বোতাম তার টেবিলেই আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ততক্ষণাৎ উত্তর দেন, তার কাছে এর চেয়ে বড়টা আছে। এমন পরিস্থিতিতে এই দুই নেতা আগামী মে বা জুনে বৈঠক করতে পারেন বলে জল্পনা-কল্পনা চলছে। কী এমন হয়ে গেলো যে, শত্রু থেকে বন্ধু হতে যাচ্ছেন তারা!
উ. কোরিয়ার নেতার মনোভাবের এই আকাশ-পাতাল পরিবর্তনের পেছনে তার বোন ৩০ বছর বয়সী কিম ইউ-জং আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুই কোরিয়ার শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কের অবসানের পেছনেও জংই কলকাঠি নেড়েছেন বলে ধারণা করা হয়। উত্তর কোরিয়ায় উনের পর জংই সবচেয়ে ক্ষমতাধর।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার ৬৫ বছর আগের যুদ্ধের এখনও আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়নি। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকের সময় থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। ওই অলিম্পিকে যোগ দেয় উ. কোরিয়া। শুধু তা-ই নয়, একটি প্রতিনিধি দলে ছিলেন উনের বোন জং। কিম বংশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি সেখানে যান।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দক্ষিণের মানুষের মন কাড়েন জং। দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে তার করমর্দনের ছবি বিশ্বের নজর কেড়েছিল।
গতকাল শুক্রবার কিম যখন সীমান্তরেখা পাড়ি দিয়ে ঐতিহাসিক সফরে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান, তখন সঙ্গে ছিলেন তার বোন জং। মুনের সঙ্গে উনের প্রথম দফার বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি বৈঠকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিপিবদ্ধ করেন।
প্রসঙ্গত, উন গত অক্টোবরে বোন জংকে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য করেন। শুধু তা-ই নয়, চীন সফরেও বোনকে পাশে রেখেছিলেন উন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
একে//