৯ দিনের ছুটিতে সরকারি চাকুরীজীবীরা
প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৭:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
স্বভাবতই আরাম প্রিয় জাতি হিসেবে পরিচিত বাঙালি। সেই আরাম এখন সোনায় সোহাগা। কারণ, নয় দিনের ছুটিতে দেশ। আর এই ছুটির পুরোটাই মজা করে উপভোগ করছেন সরকারী কর্মকর্তারা।
নয় দিনের ছুটি শুরু হয় গত ২৭ এপ্রিল শুক্রবার। শুক্রবার ও শনিবার স্বাভাবিক ভাবেই সরকারি ছুটি। ২৯ এপিল (আজ) রোববার বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। মাঝখানে একদিন (৩০ এপ্রিল) বিরতি দিয়ে পহেলা মে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এদিনও সরকারি ছুটি। পরের দিন ২ মে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব লাইলাতুল বরাত। এদিনটিও সরকারি ছুটি কার্যকর হবে। ৩ মে সবকিছু খোলা থাকলেও এরপর শুক্র ও শনিবার আবার সরকারি ছুটি।
মাঝখানে দু`দিন ছুটি ম্যানেজ করা গেলে মোট ছুটির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে টানা নয় দিন। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবচেয়ে বড় ছুটির রেকর্ড মনে করছেন অনেকে।
তবে কেউ যদি দু`দিন ছুটি ম্যানেজ করতে না পারেন তবে তিনি পাঁচ দিন ও একদিনের ছুটি ম্যানেজ করতে পারলে ছয় দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন চাকুরীজীবীরা।
এতো বড় ছুটি পেয়ে ঘরে বসে থাকতে রাজী নন চাকুরীজীবীরা। এর মধ্যেই অনেকে বেরিয়ে পড়েছেন স্ত্রী পুত্র নিয়ে। অফিসগামী যাত্রীদের ভিড় না থাকায় ঢাকা হয়ে পড়েছে অনেকটা ফাঁকা।
আরামবাগ বাস কাউন্টারে আলাপ হলো সরকারি কর্মকর্তা জাবেদ হোসেনের সাথে। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করছেন তিনি। এতো বড় ছুটি অপচয় করতে রাজী নন তিনি। একুশে টিভি অনলাইনের সাথে আলাপকালে জানালেন, শুক্রবারে খুব ভিড় থাকায় যাওয়া হয়নি। তাই আজ যাচ্ছেন।
গ্রামের বাড়িতে গিয়ে প্রিয়জনদের সাথে ছুটি উপভোগ করতে রাজধানী রাজারবাগের গ্রীন লাইন কাউন্টারে বাসের অপেক্ষায় আছেন তুষার দেব। তিনি বলেন, যাই মাকে দেখে আসি। এতো লম্বা ছুটিতে ঢাকায় বসে থেকে কী করব।
তবে আগামী ঈদের আগে আর কোনো বড় ছুটি নেই। সামনে রমযানকে কেন্দ্র করে নগর জীবন হয়ে পড়বে ব্যস্ত। তাই এই ছুটি নাগরিক জীবনে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে বলে মনে করছেন সকলে।
আআ/টিকে