ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভিয়েতনামে রাসায়নিক হামলা ও আমেরিকার মানবতাবাদ!

আসিফ হাসান

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইরাক-আফগানিস্তানে হামলার সময়ের মত মিত্রদের পাশে না পেয়ে আপাতত সেই ঘোষণা থেকে পিছু হটলেও যে কোন সময় তা ঘটতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছে।

রাসায়নিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মানবিক আবেদন(?) দেখে কিছুটা আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। কারণ ৭০-এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিনীরা মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করতে যে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে তার জের আজো দেশটি বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হওয়া, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে।

চল্লিশ বছর পূর্ণ হল আমেরিকান অভিশাপের। এজেন্ট অরেঞ্জ নামক যে প্রাণঘাতী বিষাক্ত কেমিক্যাল আমেরিকা ভিয়েতনামের উপর ছিটিয়ে গেছে তার সাথে আর অন্য কোন কিছুর তুলনা চলে না। এই অভিশাপের পরিণাম স্মরণ করে এখনো শিউরে উঠেন ভিয়েতনামবাসী। ১৯৬১ থেকে ১৯৭১, এই দশ বছরের ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকানদের দেয়া উপহারের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে ভিয়েতনামের বর্তমান প্রজন্ম।

Herbicide Orange (HO) Ges Agent LNX -এর সাংকেতিক নাম এজেন্ট অরেঞ্জ। দুইটি নামের ভিন্ন ভিন্ন অংশ নিয়ে? এই প্রাণঘাতী কেমিক্যালের নামকরণ। তবে কেমিক্যালটির কমলা রঙও এর নামকরণে দারুণ ভূমিকা রেখেছে।

সত্তরের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকান বাহিনী ভিয়েতনাম, লাওস এবং কম্বোডিয়ার কিছু অংশে প্রায় বিশ মিলিয়ন গ্যালন ডাই অক্সিন সমৃদ্ধ এজেন্ট অরেঞ্জ ছিটায়! দশ বছরব্যাপী সেই অভিযানের নাম ছিল অপারেশন র‌্যাঞ্চ হ্যান্ড। ধারণা করা হয়, ঐ দশ বছরে কমপক্ষে চার লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।

যুদ্ধ শেষ হয়েছে প্রায় চার দশক। এতো বছর পরেও এজেন্ট অরেঞ্জের প্রভাবে দক্ষিণ ভিয়েতনামে জন্ম নিচ্ছে হাজার হাজার প্রতিবন্ধী শিশু। ভিয়েতনামের পরবর্তী প্রজন্ম পরিণত হচ্ছে প্রতিবন্ধী প্রজন্মে।

ব্রায়ান ড্রিক্সকল। একজন খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার। নিউইয়র্কের এই ফটোগ্রাফার সম্প্রতি ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেন। এজেন্ট অরেঞ্জের প্রভাবে ভিয়েতনামের তৃতীয় প্রজন্ম প্রতিনিয়ত ডজন ডজন যে শারীরিক ও মানসিক রোগের সাথে সংগ্রাম করে যাচ্ছে, তা তুলে ধরাই ছিল ব্রায়ানের ভ্রমণ-উদ্দেশ্য। এজেন্ট অরেঞ্জের মতো কঠিন একটি বিষয় ব্রায়ানের বেছে নেয়ার পিছনে তাঁর চাচার পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। ১৯৬০ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধে দুই লক্ষ ষাট হাজার আমেরিকান সৈন্যের যে বিশাল বাহিনী ছিল ব্রায়ানের চাচা ছিলেন সেই বাহিনীর একজন অভিজ্ঞ সৈনিক।

ধারণা করা হয় কমপক্ষে ২৬ লাখ আমেরিকান সৈনিক নিজেরাই এজেন্ট অরেঞ্জে আক্রান্ত হন। ব্রায়ানের চাচা তাদের মধ্যে একজন। আমেরিকান এ ফটোসাংবাদিক ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে এজেন্ট অরেঞ্জ আক্রান্ত কয়েকজন ভিয়েতনামীকে শিশুকে খুঁজে বের করেন। রাসায়নিক অস্ত্রের বিভীষিকায় অল্প বয়সী এ ভিয়েতনামীদের অবস্থা হৃদয়বিদারক এক দৃশ্য। ব্রায়ান তিন সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে রাজধানী থেকে ৬৪০ মাইল পাড়ি দিয়ে না তিরাং-এ পৌঁছান। যাত্রা পথে এজেন্ট অরেঞ্জের শিকার বিভিন্ন বয়সী শিশুদের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন তিনি। এর মধ্যে এক জন ১১ বছরের নিগুয়েন ফ্যাম। নিষ্পাপ এ শিশু অন্ধ, বধির ও বোবা। জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত বিছানাতেই কেটেছে তার।

১০ বছরে মার্কিন বাহিনী ভিয়েতনাম, লাওস এবং কম্বোডিয়ার কিছু অংশে কমপক্ষে ২ কোটি গ্যালন পরিমাণ এজেন্ট অরেঞ্জ স্প্রে করে। বন-জঙ্গলে গাছের আড়ালে গেরিলা যোদ্ধাদের আশ্রয় নেয়ার স্থান ধ্বংস করার উদ্দেশে এ কেমিকেল ব্যবহার করে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের জন্য মনসান্তো করপোরেশন এবং ডাও কেমিকেল যৌথভাবে এ রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদন করে। এজেন্ট অরেঞ্জ কমলা রঙের ডোরাকাটা ৫৫ গ্যালনের ব্যারেলে করে এগুলো এশিয়াতে পাঠানো হয়। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেল্থের জিন স্টেলম্যানের হিসাব অনুযায়ী, কমপক্ষে ৩১৮১ সংখ্যক গ্রামের ৪৫ লাখ লোক এজেন্ট অরেঞ্জ সেপ্র করা এলাকার মধ্যে বসবাস করতো। সিএনএন-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভিয়েতনাম রেডক্রসের হিসাব মোতাবেক কমপক্ষে ১০ লাখ ভিয়েতনামি এজেন্ট অরেঞ্জে আক্রান্ত যার মধ্যে ১.৫ লাখ শিশু জন্মগতভাবে বিকলাঙ্গ।

তবে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এজেন্ট অরেঞ্জ আক্রান্তদের এ সংখ্যাকে মেনে নিতে নারাজ। তারা এটাকে অনির্ভরযোগ্য এবং অতিরঞ্জিত বলে উল্লেখ করেছে। এজেন্ট অরেঞ্জের শিকার ব্যক্তিরা যেসব ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি হলো নন-হজকিন্স লিমফোমা, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, সফট টিস্যু সার্কোমা, জন্মগত বিকলাঙ্গতা, স্পাইনা বিফিডা ও প্রজনন সংক্রান্ত জটিলতা। সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন ফর ভিকটিমস অব এজেন্ট অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠান চতুর্থবারের মতো এজেন্ট অরেঞ্জ উৎপাদনকারী আমেরিকান কোম্পানিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

এই মরনসম অভিশাপ ভিয়েতনামের উপর ছিটিয়ে দেয়ার কারণ শুনলে আপনি বেশ অবাকই হবেন। যুদ্ধের দিনগুলোতে ভিয়েতনাম গেরিলারা আমেরিকান বাহিনীর উপর হামলা করে আবার জঙ্গলে লুকিয়ে যেত। লুকানো গেরিলাদের খুঁজে বের করতে আমেরিকা ভিয়েতনামের সমস্ত গাছপালা নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ফন্দি আঁটে। ফন্দির অংশ হিসেবে আমেরিকান প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য তৈরি এই বিষাক্ত কেমিক্যাল ভিয়েতনামের উপর ছিটিয়ে দেয়া হয়। ফলাফল ভিয়েতনামের পঁচিশ লক্ষ একর কৃষি-জমি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।

জেনি স্টেলমেন - কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক - তিনি ধারণা করেন, ৩ হাজার ১৮১ টি গ্রামের কমপক্ষে সাড়ে চার মিলিয়ন ভিয়েতনামিজ সরাসরি এজেন্ট অরেঞ্জ ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হন। আর ভিয়েতনাম রেডক্রসের মতে, বর্তমানে প্রায় এক মিলিয়ন ভিয়েতনামিজ এজেন্ট অরেঞ্জ দ্বারা আক্রান্ত। যাদের মধ্যে জন্ম-প্রতিবন্ধী শিশুর সংখ্যা কমপক্ষে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার! তবে এতগুলো প্রতিবন্ধী জীবনের দায়ভার যাদের উপর বর্তায় তারাই সম্প্রতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আমেরিকান সরকার উল্লেখিত সংখ্যাগুলি অস্বীকার করার পাশাপাশি সংখ্যাগুলিকে অবিশ্বস্ত ও স্ফীত বলে মন্তব্য করেছে।

এজেন্ট অরেঞ্জ দ্বারা আক্রান্ত একজন মানুষ লিম্ফোমা, দুই ধরণের ডায়াবেটিস, সংযোজক কোষের টিউমার, বন্ধ্যাত্ব, হৃদরোগ, জন্মগত ত্রুটিসহ বিভিন্ন প্রকারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। উদ্বেগের ব্যাপার হলো, এখন পর্যন্ত ভিয়েতনামে এজেন্ট অরেঞ্জের ডাই অক্সিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ভিয়েতনামীদের কিছুই করার নেই। গত বছর আমেরিকা ভিয়েতনামের মাটি থেকে বিষাক্ত ডাই অক্সিন মুছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু কৌশলে আবার তা এড়িয়েও যাওয়া হয়। শেষ চেষ্টা হিসেবে এজেন্ট অরেঞ্জে আক্রান্তদের একটি এসোসিয়েশন সম্প্রতি হো চি মিন সিটিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাদের দাবী ছিলো, যে কোম্পানিটি আমেরিকান প্রতিরক্ষা বাহিনীকে এই প্রাণঘাতী কেমিক্যালটি উৎপাদন করে দিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।

অন্য একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ভিয়েতনামে ক্ষতিকর রাসায়নিক ‘এজেন্ট অরেঞ্জ’ পরিষ্কারে সহায়তার একটি প্রকল্প শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ সমাপ্তির পর এ-ই প্রথম এমন উদ্যোগ নিল মার্কিন প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় শহর দানাংয়ের বিমানবন্দরে এ কাজ শুরু করা হবে।

ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় শত্রুর লুকানোর স্থান ধ্বংস করার জন্য চিরহরিৎ ঘন জঙ্গলে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী লাখ লাখ গ্যালন এজেন্ট অরেঞ্জ স্প্রে করে। এ বিশেষ রাসায়নিকটি স্প্রে করলে গাছের পাতা খুব দ্রুত ঝরে যায়। সেই রাসায়নিকের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে ভিয়েতনামের মানুষ। ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, লাখ লাখ মানুষ এজেন্ট অরেঞ্জের ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার হয়েছে যার মধ্যে শিশুই রয়েছে দেড় লাখ। এদের বেশিরভাগই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্ম নিয়েছে।

ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, এজেন্ট অরেঞ্জ পরিষ্কার অভিযান প্রকল্পে তারা ৪ কোটি ১০ লাখ ডলার দেবে। এ প্রকল্প পরিচালিত হবে দু’টি মার্কিন কোম্পানি ও ভিয়েতনাম প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায়। দূতাবাস আরো জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় দূষিত মাটি এবং পলি খুঁড়ে তুলে জড়ো করা হবে। এরপর ওই ডাইঅক্সিন (এজেন্ট অরেঞ্জ) নষ্ট করার জন্য সেগুলো উচ্চতাপে পুড়ে ফেলা হবে।

দাতব্য সংস্থা ইউএসএইড’র ফ্রাঙ্ক পনোভান রেডিও অস্ট্রেলিয়াকে জানিয়েছেন, এ প্রকল্প চলবে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। তারা আশা করছেন, এতে করে ওই এলাকা শিল্পায়ন, বাণিজ্য এবং বসবাসের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ হয়ে উঠেবে। প্রথম প্রকল্পে দানাং বিমানবন্দরে পরিষ্কার অভিযান চালানো হলেও এ রাসায়নিকের এমন অনেক গুদাম ভিয়েতনামজুড়ে রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি বিমানবন্দরও রয়েছে।

এজেন্ট অরেঞ্জ নিয়ে আদালতের রায়

ভিয়েতনাম যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে শারীরিক ক্ষতি প্রমাণিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের এক অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত। এজেন্ট অরেঞ্জ নামে রাসায়নিক অস্ত্র প্রস্তুতকারী ওই প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এ অর্থ ওই অস্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯ দক্ষিণ কোরীয়কে দেওয়া হবে বলে আদালত জানিয়েছেন। ভিয়েতনামী বামপন্থী গেরিলারা যাতে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে না পারে সে জন্য এজেন্ট অরেঞ্জ নামে আগাছানাশক ছিটিয়ে বনের গাছগুলো পাতাশূন্য করে ফেলেছিল মার্কিন বাহিনী।

ওই রাসায়নিকের কারণে নানা রকমের ত্বকের রোগের শিকার হয়েছেন বলে ওই কোরীয়রা যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্র্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। এই প্রথম ভিয়েতনাম যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে শারীরিক ক্ষতির বিষয়টি প্রমাণিত হলো। ওই রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে পরবর্তী সময়ে ত্বকের রোগ হওয়ার সম্পর্ক পাওয়া যায়। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানের। তবে এজেন্ট অরেঞ্জ প্রস্তুতের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ডাউ কেমিক্যালসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, তারা কোরীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে একমত নয়। যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই এ রায় দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে ১৬ হাজার রাসায়নিক অস্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি মামলা করেন। তাঁরা চার শ চার কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চান। ২০০৬ সালে একটি আপিল আদালত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানকে ছয় হাজার ৭৯৫ জনকে ছয় কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার দিতে বলেন। আলোচিত ভিয়েতনাম যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়া তিন লাখ সেনা পাঠিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের সেনাদের সঙ্গে তারা একযোগে উত্তর ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

তথ্যসূত্র: অনলাইন

লেখক: ঢাকা থেকে প্রকাশিত আমাদের মানচিত্র`র প্রধান সম্পাদক

mail2hasan@gmail.com