ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:১৫ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড পদত্যাগ করেছেন। তুমুল সমালোচনার মুখে স্থানীয় সময় রোববার রাতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
অভিবাসন নীতিতে তাকে পদত্যাগ করতে হলো বলে জানা গেছে।

অ্যাম্বার রাডের পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের জন্য বড় একটা ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করনছেন। কেননা, অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে অ্যাম্বার রাড সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রী মেকে সুরক্ষা দিচ্ছিলেন। তার পদত্যাগের পর মে অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়লেন।

এ ছাড়া অ্যাম্বার রাডের বিদায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) প্রশ্নে মন্ত্রিসভার ভারসাম্যকে নষ্ট করবে। অ্যাম্বার রাড ইইউর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পক্ষে ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে একই মানসিকতার কাউকে স্থলাভিষিক্ত করা প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের জন্য এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।

যুক্তরাজ্যে ২০১০ সালে কনজারভেটিভ দল ক্ষমতায় আসে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তার সময়ে অভিবাসন নিয়ে বিতর্কিত কঠোর সব নিয়ম চালু হয়। শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, বাসা ভাড়া নেওয়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিবাসনের বৈধতা যাচাইয়ের নিয়ম বাস্তবায়ন হয়।

এতে দশকের পর দশক ধরে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিলেন—এমন অনেকেই বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। এসব মানুষ কখনো ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বা বৈধ কাগজপত্র নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি। বিতর্কিত অভিবাসন নীতির কারণে অনেকে বেশ দুর্ভোগের শিকার হয়।

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

এসএইচ/