ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১

গত দেড় বছরে চট্টগ্রামে জঙ্গিদের ৬টি হামলায় নিহত হয়েছেন ৫

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ এএম, ৭ জুন ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪৪ এএম, ৭ জুন ২০১৬ মঙ্গলবার

গত দেড় বছরে চট্টগ্রামে জঙ্গিদের ৬টি হামলায় ব্যবসায়ী, শিক্ষকসহ নিহত হয়েছেন ৫ জন। আর তহবিল গঠনের জন্য ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের সময় নিজেদের গ্রেনেড বিস্ফোরণে জেএমবির দুই সদস্য নিহত হন। পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নিহত হয়েছে আরও এক জঙ্গি। গত বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ৬ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬টি হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৫ জন। তাদের টার্গেট ছিলো শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পীর ও খাদেম। সর্বশেষ তাদের নির্মমতার শিকার হলেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী। এছাড়া পুলিশের অভিযান এবং ছিনতাই চেষ্টার সময় নিহত হয়েছে তিন জেএমবি জঙ্গি। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি জঙ্গিদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন চট্টগ্রাম নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষক অঞ্জলি দেবি চৌধুরী। ৪ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আকবর টিলা এলাকার ল্যাংটা ফকিরের মাজারের পীর রহমতউল্লাহ ওরফে ল্যাংটা ফকির ও তার খাদেম আব্দুল কাদেরকে গলা কেটে হত্যা করে জেএমবি। ২৩ সেপ্টেম্বর সদরঘাটে ছিনতাইকারীরে কবলে পড়েন ব্যবসায়ী সত্য গোপাল ভৌমিক। এ সময় নিজেদের হাতে থাকা গ্রেনেডের বিস্ফোরণে নিহত হন জেএমবি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম। ২৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সত্য গোপাল ভৌমিক। ৫  অক্টোবর কর্ণফুলী থানা এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হন জেএমবির সামরিক কমান্ডার তৌফিকুল ইসলাম জাবেদ। পরে জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে ৬ অক্টোবর বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।  এ সময় জাবেদ নিহত হন। ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জুমার নামাজের সময় একযোগে ঈশা খাঁ ঘাঁটির দুটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন আহত হন। এসব ঘটনার তদন্ত করেন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার। আর এসব কারণেই জঙ্গিদের টার্গেট ছিলেন তিনি। পুলিশের ধারণা, এ কারণেই ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয় পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে।