ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

রোযার আভ্যন্তরীণ শর্তসমূহ

প্রকাশিত : ০৮:১৯ পিএম, ১ মে ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:০৪ এএম, ১০ জুন ২০১৮ রবিবার

সাধারণের রোযা, বিশেষ ব্যক্তিগণের রোযা এবং বিশিষ্টতম ব্যক্তিবর্গের রোযা- রোযার এই তিনটি স্তর রয়েছে।

সাধারণের রোযা হচ্ছে, উদর ও লজ্জাস্থানকে কামোদ্দীপনাপূর্ণ করা থেকে বিরত রাখা। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের রোযা হচ্ছে চক্ষু, কর্ণ, জিহবা, হাত পা এবং সমস্ত অঙ্গকে গোনাহ থেকে বিরত রাখা এবং বিশিষ্টতম ব্যক্তিবর্গের রোযা হচ্ছে, অন্তরকে দুঃসাহস,পার্থিব চিন্তা এবং আল্লাহ ব্যতীত সকল বিষয় থেকে ফিরিয়ে রাখা। এই প্রকার রোযা আল্লাহ তাআলা ও আখেরাত ছাড়া অন্য বস্তুর চিন্তা এবং সাংসারিক চিন্তার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। ধর্ম পালনের জন্যে যতটুকু পার্থিব চিন্তা জরুরি, ততটুকুর চিন্তা রোযা নষ্ট করে না। কেননা, এটা আখেরাতের পাথেয় দুনিয়ার নয়।

এমনকি, বুজুর্গগণ বলেন, যেব্যক্তি দিনের বেলায় এ চিন্তায় ব্যাপৃত হয় যে, ইফতারির ব্যবস্থা করে নেওয়া দরকার, তাকে ভ্রান্ত বলা হবে। কেননা, সে আল্লাহ তাআলার কৃপার উপর ভরসা কম করে এবং তাঁর প্রতিশ্রুতি রিযিকে বিশ্বাস কম রাখে।

এটা নবী, সিদ্দিক ও নৈকট্যশীলগণের স্তর। এই রোযা তখন অর্জিত হয়,যখন মানুষ সমস্ত সাহসিকতা সহকারে আল্লাহ তাআলার প্রতি মনোনিবেশ করে, অন্য সবকিছুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং এই আয়াতের বিষয়বস্তু তার উপর আচ্ছন্ন হয়ে যায়-

বল, আল্লাহ, অতঃপর তাদেরকে তাদের ছিদ্রান্বেষী নিয়ে খেলা করতে দাও।

 

# ইমাম গাযযালি (রহঃ) এহইয়াউ উলুমিদ্দিন বই থেকে সংগৃহীত

টিকে