বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী থাইল্যাল্ড
প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ২ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৩:৫৯ পিএম, ২ মে ২০১৮ বুধবার
বাংলাদেশের অগ্রসরমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করেছে থাইল্যান্ড। এদেশের বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনগোষ্ঠী, পাট, পর্যটন, চিকিৎসা সেবা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইটি), ইলেকট্রনিকস পণ্য, মেশিনারিজ কারখানা, হিমায়িত খাদ্য, অবকাঠামোসহ সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড।
আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজিত বাংলাদশে- থাইল্যান্ড বিনিয়োগবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম এতথ্য জানান।
কাজী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামীতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। থাইল্যান্ড বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। কারণ বাংলাদেশে শিক্ষিত তরুণ সমাজ রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজে অংশ নিচ্ছে। আগামীতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
কাজী আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, থাইল্যান্ড যৌথভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে উভয় দেশ সুফল পাবে।
থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন বলেন, চীন ভারতের পরেই বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের উন্মুক্ত বাজার অর্থনীতি, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, দক্ষ জনশক্তি ও কৌশলগত ভালো অবস্থানের রয়েছে বাংলাদেশ। তাই আমরা এদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশের কাছে অনুকূরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ খানে সামাজিক ন্যায্যতাও সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অগ্রগতির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আশা করি এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সেই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং ডিজিটাল সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে।
টিআর/ এসএইচ/