ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানবাধিকার চর্চায় হুমকি
প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ২ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০২:৫৬ পিএম, ২ মে ২০১৮ বুধবার
প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু মত প্রকাশের ক্ষেত্রেই নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। তাই এ আইনের ঝুঁকিপূর্ণ ধারাগুলো বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। আগামীকাল ৩ মে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এ উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে মুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার চর্চা অব্যাহত রাখতে পারে সে জন্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা পুর্নবিবেচনা দরকার। এজন্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারা পুর্নবিবেচনা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সব নাগরিকের বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্হী।
তিনি বলেন, খসড়াটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ধারাগুলো সংশোধন না করেই সংসদে উত্থাপিত হওয়া সত্যিই হতাশাজনক। এ আইনের ফলে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য প্রকাশ যেমন অসম্ভব হয়ে পড়বে, তেমনি এসব অপরাধের সুরক্ষার মাধ্যমে অধিকতর বিস্তৃতি ঘটাবে বলেও জানান ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে প্রস্তাবিত আইনটি তাতে বাধা হিসেবে কাজ করবে।
একে/ এমজে