‘কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের আফসোস থাকবে না’
প্রকাশিত : ০৯:৫৭ এএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার
সরকারি চাকরীতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের কারণে বিষয়টি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কোনো আফসোস থাকবে না বলে মনে করেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা রাশেদ খান। কোটা ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে আর হা-হুতাশ করার কিছু নেই- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জেলা কোটাও বাতিল হয়ে গেছে। এখন কেউ এসে পিছিয়ে পড়া হিসেবে চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ করতে পারবে না।
সে প্রেক্ষাপটে রাশেদ খান বলেন, পিছিয়ে পরা জেলাগুলো কোটার সুবিধা বাস্তবে পাচ্ছে না। সে কারণে প্রত্যেকটা জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতঃ:স্ফূর্ত ভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা জেলায় কোটার সুবিধা যেটা আছে সেটা ৮.৩৬ শতাংশ। অন্যধিকে কুড়িগ্রামে ১.৪৪ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবতা হওয়ার কথা ছিল ভিন্ন। যেহেতু কুড়িগ্রাম অনেক পিছিয়ে পড়া একটা জেলা অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে। অর্থাৎ জেলা কোটার বাস্তবিক প্রয়োগ এখানে হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, যারা এ আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তাদের সব তথ্য ও ছবি সরকারের কাছে রয়েছে। তারা যদি পরে চাকরি না পেয়ে জেলা কোটার জন্য হতাশা প্রকাশ করে তাতে কিছু করার থাকবে না।
কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যকে আন্দোলনকারীরা হুমকি হিসেবে দেখছে কিনা? এমন প্রশ্নে রাশেদ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ছাত্র সমাজ বিচলিত বা আতকিংত নয়। ছাত্র সমাজ যে আন্দোলন করেছে তা ছিল যৌক্তিক সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক। ছাত্র সমাজ অন্য কোনও দাবি করেনি। এ কারণে আপনারা দেখে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ছাত্র সমাজের অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যমগুলিতে বলেছে তাদের সবার তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হোক। তবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর কিছু ছাত্র-ছাত্রী তাদের আতংকের বিষয়টি প্রকাশ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাশেদ খান আরও বলেন, আন্দোলনের কারণে হয়রানি করা হবে কি-না সে বিষয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, তবে আমরা বলতে চাই যে আন্দোলনের কারণে কাউকে হেনস্থা করা হলে ছাত্র সমাজ তা ভালোভাবে নেবে না।
সূত্র: বিবিসি
একে// এআর