অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা
সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করে গান
প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বিনোদনের প্রধান মাধ্যম গান। গান শুনলে মন ভালো হয়, গান করে তোলো আবেগী। কখনও চোখ বেয়ে জলও টপটপ করে পড়তে থাকে দু:খের গান শোনলে। তবে গান সম্পর্ক দৃঢ় করে! এমন কথা শুনেছেন কোথাও। হ্যাঁ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমনটিই বলছেন। গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি ‘জার্নাল অব ফ্যামিলি কমিউনিকেশন’-এ ছাপা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব অল্প বয়সী নারী বা পুরুষ শিশুকালে, বিশেষ করে কিশোর বয়সে গান শোনার অভিজ্ঞতা মা-বাবার সঙ্গে বিনিময় করেছেন, ভবিষ্যতে মা-বাবার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক গভীর হয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, মা-বাবা যদি সন্তানকে, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গান শোনেন, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয়। দুটো কারণে সম্পর্ক ভালো হয় বলে গবেষকেরা মনে করেন। প্রথমত, গান বা সংগীতের সময় যুগপৎ কিছু ঘটনা ঘটে, কিছু ঘটনার সমন্বয় হয়। যেমন একইসঙ্গে নাচা বা গান গাওয়া। এতে একের প্রতি অন্যের আগ্রহ ও পছন্দ বাড়ে। দ্বিতীয়ত, গান অন্যের আবেগ-অনুভূতির প্রতি একাত্ম করে তোলে। এই একাত্মতা বোধ ও সমন্বয় ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে।
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান জেক হারউড বলেন, আপনার যদি ছোট শিশু থাকে এবং আপনি যদি তার সঙ্গে গান শোনেন, তাহলে গান আপনাদের পরস্পরকে কাছে আসতে সাহায্য করে। পরবর্তী জীবনে তারা আপনার কাছে আরও আসবে।
তিনি আরও বলেন, আপনার যদি কিশোর বা কিশোরী সন্তান থাকে এবং আপনি যদি সফলভাবে তাদের সঙ্গে গান শোনেন, অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন, তাহলে ভবিষ্যতে সম্পর্ক অনেক দৃঢ় হবে। সম্পর্কের ব্যাপারে শিশুদের ধারণা কৈশোরের শুরুতেই তৈরি হতে থাকে।
গবেষকেরা অল্পবয়সী নারী-পুরুষের ওপর জরিপ করেছেন। এদের গড় বয়স ২১ বছর। জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সে এবং ১৪ বছর বা তার বেশি বয়সে মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে গান শোনা, কনসার্টে অংশ নেওয়া, যন্ত্র বাজানো এসব বিষয়ে স্মৃতিনির্ভর তথ্য দেন গবেষকদের। তাঁরা মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ককে কীভাবে দেখেন, সেই তথ্যও দেন।
/ এআর /