এমসিকিউ নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত: শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৮:৩২ পিএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৩৩ পিএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার
পাবলিক পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) প্রশ্ন থাকবে কি না সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত দেওয়া বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, বহুনির্বাচনি বা এমসিকিউ এখন প্রশ্ন ফাঁসের একমাত্র উপায়। এ বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এবারের পরীক্ষার আগে এমসিকিউ প্রশ্ন পেয়েছে পাঁচ হাজারের মত পরীক্ষার্থী। এমসিকিউ ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এমসিকিউ বাতিলের বিষয়ে জনমত গড়ে তুলতে বলেছেন। এমসিকিউ নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এবার এসএসসিতে অধিকাংশ বিষয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতে বা পরীক্ষার সকালে ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে হলে বসা বাধ্যতামূলক করেও এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্নফাঁস মহামারির আকার ধারণ করায় প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে সেখান থেকে সহজেই বহু নির্বাচনী অংশের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্নে।
দেশে এসএসসিতে এমসিকিউ প্রশ্ন প্রবর্তন করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে। ওই সময় মোট ৫০টি বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে হত। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ নম্বর করে। দীর্ঘদিন ওই ব্যবস্থা চলার পর প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এখন এমসিকিউ অংশ কমিয়ে আনার কথা বলা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক সমাপনীর পাশাপাশি চলতি বছরের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা পদ্ধতিতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, বহু নির্বাচনী প্রশ্ন বাদ দেওয়া উচিত। এটি বাদ দিলে প্রশ্ন ফাঁসের কথা উঠবে না। আমি আগামী পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করছি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, বহু নির্বাচনী প্রশ্ন বা এমসিকিউ সেভাবে আমরা মূল্যায়ন করতে পারছি না। সংস্কার আনব বা বন্ধ করে দিতে পারি তা এখনই সিদ্ধান্ত দিচ্ছি না।
আর