শহরমুখী হওয়া মানুষের হার কমছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
প্রকাশিত : ১০:২৩ পিএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৩০ পিএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে গ্রাম থেকে শহরমুখী হওয়া মানুষের হার কমছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
বিশ্বের ৮টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত অর্থনৈতিক সহযোগী সংগঠন ডি-৮’র মহাসচিব এ্যাম্বাসেডর দ্যাতো’ কু জাফর কু শ্যারি আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এস. এম. গোলাম ফারুক এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের কর্মপন্থা, লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে আমাদের জনসংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে সাত কোটি। ২০১৮ সালে এসে তা প্রায় ১৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এই বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘আমরা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি’।
খন্দকার মোশাররফ দেশে বিদ্যমান পাঁচ স্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিধিকে অবহিত করে বলেন, প্রায় ৬০ হাজারেরও অধিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সর্বদা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। যার সুফল ‘আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি, জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা এখন স্বীকৃত।
ডি-৮’র মহাসচিব বলেন, ডি-৮’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়াতে হবে। অর্থনৈতিক, কৃষি, সড়ক পরিবহন ও পর্যটন খাতসমূহে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্যাতো’ কু জাফর কু শ্যারি স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিষয়ে পরস্পর অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য ডি-৮’র সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য সামিটে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
এলজিআরডি মন্ত্রী ডি-৮’র সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসি