প্রবাসী আয়ে চাঙ্গাভাব
প্রকাশিত : ১১:০৩ পিএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ৪ মে ২০১৮ শুক্রবার
প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্সে) চাঙাভাব অব্যাহত আছে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩২ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার। যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার বা ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের কারণেই প্রবাসী আয় বেড়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-এপ্রিল) ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ২০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ২৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার।
আর একক মাস হিসেবে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে রেমিট্যান্স কিছুটা বেড়েছে। গত মার্চে দেশে ১২৯ কোটি ৯৭ ডলার রেমিট্যান্স পঠিয়েছে প্রবাসীরা। একইসঙ্গে হিসেবে মার্চের চেয়ে এপ্রিলে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।
চলতি বছরের এপ্রিলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ৩২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বরাবরের মতো এবারো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিডেটে, সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরিত করেছে। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ২৬ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ কোটি ৩ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৭ লাখ ডলার এবং জনতার মাধ্যমে ৭ কোটি ৯৯ ডলার রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ মূল্যের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৪৯২ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ কোটি ডলার বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরা/টিকে