ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

অল্পসময়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা

প্রকাশিত : ০৯:৩৯ এএম, ৮ জুন ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০৯:৩৯ এএম, ৮ জুন ২০১৬ বুধবার

কি ছিলো না বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬-দফায় ! একদিকে ছিলো শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার দাবি; অন্যদিকে, মুদ্রা ও অর্থ, রাজস্ব, কর বা শুল্ক, বৈদেশিক বানিজ্য ও অঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনে ক্ষমতা দেয়ার দাবি। তাইতো অল্পসময়েই বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। বাড়তে থাকে তাঁর প্রতি জনসমর্থন। বাঙ্গালীর মুক্তির সনদ কিংবা ম্যাগনাকার্টা যাই বলা হোক না কেন, শব্দগুলোর সাথে অনায়াসেই সমান্তরালে রাখা যেতে পারে ৬-দফাকে। আর এই ৬-দফার প্রথম দফায় ছিল পূর্ব বাংলার স্বায়ত্ত্বশাসন। ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকারের বৈশিষ্ট্য হবে ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ও সংসদীয় পদ্ধতিতে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচন হবে প্রত্যক্ষ এবং সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দু'টি পৃথক মুদ্রা-ব্যবস্থা চালুর দাবি এবং দু'অঞ্চলে পৃথক ষ্টেট ব্যাংক ও মুদ্রার পরিচালনা ক্ষমতা আঞ্চলিক সরকারের হাতে রাখা নিয়ে ছিল দ্বিতীয় দফা। মুদ্রা-অর্থ, রাজস্ব ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে দেয়া এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক তিনটি দফায় ছিল বঙ্গবন্ধুর উত্থাপিত ৬-দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিন দাবি। আঞ্চলিক সংহতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সংবিধানে অঙ্গরাজ্যগুলোকে নিজের কর্তৃত্বাধীনে আধা-সামরিক বাহিনী বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা দেয়ার কথা ছিল শেষ দফায়। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েই ৬ দফাকে-১ দফায় রূপান্তরিত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল।