খাতুনগঞ্জে কমে গেছে তেল ও চিনির বিক্রি
প্রকাশিত : ০৯:৫৭ এএম, ৯ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৫৭ এএম, ৯ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার
দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এবার রমজানে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে তেল, চিনির বিক্রি। মধুমাস জৈষ্ঠ্যে রমজান শুরু হওয়ায় মানুষের খাদ্যভ্যাসে এমন পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ফলে তেল চিনি দেয়া ভাজা খাবার বানানো কিংবা কেনার চেয়ে মানুষ এখন রূপে-রসে অনন্য রসালো ফলমূল কিনতেই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
রমজান মাসে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর ইফতারে মুখরোচক তেলে ভাজা ও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রচলন এ দেশে দীর্ঘদিনের। এসব খাবার স্থাস্থ্যহানি ঘটালেও দেখা যায়, রমজানে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রোজাদারদের কাছে তেল, চিনির চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণে পৌঁছায়। কিন্তু এ বছর এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। কমে গেছে তেল, চিনির বিক্রি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, চিনির দামের উর্দ্ধগতির পাশাপাশি এখন মধু মাস হওয়ায় ক্রেতারা তেল, চিনি না কিনে ফল কেনার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
এর সত্যতা মিলেছে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে। আম, আনারস, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন ধরনের রসালো ফলে ছেয়ে গেছে হাট বাজার, বিভিন্ন ফলের দোকান। পাইকারী, খুচরা বাজার ছাড়াও রাস্তার পাশে ফুটপাতেও বিক্রি হচ্ছে নানান রসালো ফল। এসব ফলে কোন প্রকার কৃত্রিম রং কিংবা ফরমালিন না থাকায় ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
ফলের ভরা মৌসুম হওয়ায় ক্রেতাদেরকেও দেখা গেছে ফলের দোকানগুলো থেকে হরেক রকম মৌসুমী ফল কিনতে।
তবে ফরমালিনমুক্ত রাখতে ফলের বাজারে প্রশাসনের নজরদারী রাখারও দাবি জানান ক্রেতারা।