ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৪ ১৪৩১

সাড়ে তিন হাজার জনবল নিয়োগ হবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে

প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ৫ মে ২০১৮ শনিবার

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর নান্দনিক ভবন নির্মাণে নতুন করে তিন হাজার ৬৭০ লোকবল নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এমন তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে এডিপি বাস্তবায়ন লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতাবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কাজ করছে, ১ হাজার তিনশত ২৭ জন। এর সঙ্গে আরও তিন হাজার ৬৭০ জনবল নতুন করে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে ৪ হাজার ৯ শত ৯৭ জন। তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় এ সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে ও শিক্ষার মানসম্মত পরিবেশের জন্য মানসম্মত ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ভবনগুলো নির্মাণের সময় নান্দনিকতার প্রতি নজর দিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে নতুন জনবল নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে। নতুন জনবল আসলে কাজের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মান বাড়বে।

তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বাজারমূখী করতে সরকার কাছ করছে। সঙ্গে সঙ্গে নৈতিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষকদের।

অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতে আগে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আর সরকার সেই কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের অর্থিক উন্নয়ন হলে শিক্ষায় মান বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে জীবনমানও উন্নয়ন হবে। তাই সরকার শিক্ষকদের বেতন কাঠামো বৃদ্ধি করেছে।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ কারণে শিক্ষায় বাজেট বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

শিক্ষা প্রকৌশলী দেওয়ান হানজালা এর সভাপতি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী, কাজী কেরামত আলী, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, শিক্ষা সচিব আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব মহিউদ্দীন খান প্রমুখ  

 টিআর/ এআর