পাকস্থলী ক্যান্সারে আক্রান্ত মুমিনুলের ইচ্ছা মানুষের সেবা করা
প্রকাশিত : ১১:৩৬ পিএম, ৫ মে ২০১৮ শনিবার
আমি মানুষকে সাহায্য করতে চাই। মানুষের পাশে দাড়াঁতে চাই। আমি বুঝি অসুস্থতার যন্ত্রণা কতটুকু। যদি সুস্থ হতে পারি পরবর্তী সময়টুকু অসুস্থ মানুষের সেবা করে কাটিয়ে দিতে চাই। কথাগুলো বলছিলেন পাকস্থলী ক্যান্সারে আক্রান্ত মো. মমিনুল হক। তিনি বর্তমানে রাজধানী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মানিকদী অঞ্চলে বসবাস করছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার (৩ মে) স্ব-শরীরে একুশে টেলিভিশনের অফিসে এসেছিলেন। তার রোগের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা হয় একুশে টেলিভিশনের এক প্রতিবেদকের সাথে। দেখে মনে হলো রোগের কারণে মুমিনুল হকের স্বাস্থ্য ভেঙে গেছে। কিন্তু এখনো তিনি নিজের প্রতি আস্থা হারান নি। তিনি মনে করেন দেশে এখনো ভালো মানুষ রয়েছে। আল্লাহর সাহায্যে এবং যারা বৃত্তবান আছেন তাদের সহায়তায় আবারো সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে বিশ্বাস তার। তিনি তার পাকস্থলির ক্যান্সার সম্পর্কে যেভাবে বর্ণনা দিলেন।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৮ মার্চ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল মীরপুর শাখায় পরীক্ষা করালে পাকস্থলী ক্যান্সার ধরা পরে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, কলকাতা সুরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসোর্স ইন্সটিটিউট, কিদু ওয়াই ক্যান্সার মোমোরিয়াল হাসপাতাল এবং ব্যাঙ্গুলোর হাসাপতালে চিকিৎসা নিয়েছি। বর্তমানে সিএমসি হাসপাতাল চেন্নাইতে চিকিৎসাধীন আছি। টাকা জোগাড় করতে বর্তমানে দেশে ফিরে এসেছি। টাকা জোগার করতে পারলে আবার ভারতের সিএমসি হাসপাতালে ফিরে যাব।
তিনি বলেন, আমার সুস্থতার জন্য ১২টি ক্যামো রেডিও থেরাপি দরকার। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৯টি ক্যামো রেডিও থেরাপি এবং ২টি অপারেশন করেছি। আমার এতে খরচ হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, বাকী ক্যামো রেডিও থেরাপি, নার্ভের বায়োপসি, অপারেশনের মাধ্যমে স্টমাক এর পরিবর্তে বেলুন স্থাপন করতে হবে। তাই এ কাজগুলো সম্পন্ন করাতে প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, কুমিল্লার হোমনা থানায় অবিস্থত দৌলতপুর গ্রামে আমার যত সম্পত্তি ছিল তা বিক্রি করে দিয়েছি। আমাদের কাছে যা ছিল সব খরচ করে কোনো উপায় না পেয়ে মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছি।
২০১৬ সালের ৮ মার্চ এক পরীক্ষার মাধ্যমে তার পাকস্থলির ক্যান্সার ধরা পরে। এ সমস্যা দেখা দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি একজন ট্যুর গাইড ছিলেন। জাপান ও মালয়েশিয়ায় থাকার সুবাধে তিনি জাপানি ও মালয়েশিয়ান ভাষা জানতেন। ফলে দেশে এসে বিদেশী নাগরিকদের ট্যুর গাইড হিসেবে চাকরি নেন।
সবকিছু ভালোই চলছিলো ।কিন্তু হঠাৎ করে এ সমস্যা দেখা দেওয়ায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেয়ে সুমাইয়া হক এসএসসি পরীক্ষা দেবে ২০১৯ সালে এবং ছোট মেয়ে জুয়াইরিয়া হক পড়ছেন সপ্তম শ্রেণিতে।
বর্তমানে নিজের চিকিৎসার খরচ, মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ এবং সংসার পরিচালনা করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় তার চিকিৎসার খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন।
তাই তিনি চিকিৎসার টাকার জন্য দেশের সকল বৃত্তবান লোকের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।
সাহায্য করতে-
মো. মুমিনুল হক
৩৭২ (১ম তলা) মানিকদী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা-১২০৬।
মোবাইল নম্বর: ০১৭৩৯৪৮৮৯২০ (বিকাশ পারসোনাল), ০১৭৩২৯৯৮২৮৪ (বিকাশ পারসোনাল)
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
আলা আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
মানিকদী বাজার শাখা
অ্যাকাউন্ট নং-৯৯০১১৮০২২১০৪৯
এমএইচ/