ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

আমাকে কি এ দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে : শাকিব খান

প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ৬ মে ২০১৮ রবিবার

শাকিব খান। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা নায়ক। ঢালিউডের পাশাপাশি টালিউডেও ঘর বেধেছেন তিনি। তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘চালবাজ’ বাংলাদেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ভারতীয় পরিচালক জয়দীপ মুখার্জির এই সিনেমাটি আমদানি করেছে বাংলাদেশের এন ইউ ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

২৭ এপ্রিল বাংলাদেশে সিনেমাটি মুক্তি পায়। এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘চালবাজ’ সিনেমার প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়িয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সিনেমাটির প্রতি দর্শক আগ্রহ বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে তাদের দাবি। যদিও শুরুর দিকে সিনেমা মুক্তি নিয়ে বেশ জটিলতা পোহাতে হয়। তবে সেই জটিলতা কাটিয়ে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘চালবাজ’। দর্শকও সিনেমাটি দেখছেন আগ্রহ নিয়ে। কিছু কিছু প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি দেখার জন্য লম্বা লাইনও দেখা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘‘চালবাজ’ দেখতে দর্শক আগ্রহী হবেন একটা মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের উপচে পড়া ভিড়ের ছবি, টিকিটের জন্য হাহাকার, কালোবাজারে টিকিট বিক্রি—এগুলো দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। সিনেমাটি নিয়ে কোনো প্রচারণা চালাতে পারেনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। মুক্তির তিন দিন আগে সিনেমাটি ছাড়পত্র পায়। শুনেছি তাড়াহুড়োর কারণে সারা দেশে ঠিকমতো পোস্টারও লাগাতে পারেনি। এরপরও দর্শক যেভাবে প্রেক্ষাগৃহে ছুটে গেছেন, তা দেখে আমি বিস্মিত। দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁরা আছেন বলেই সিনেমাতে অভিনয় করি। তাঁরাই আমাকে সব সময় সাহস আর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’

‘চালবাজ’ সিনেমার আগে আমদানি নীতিমালায় আরও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। তবে চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডে সেসব সিনেমার ছাড়পত্র নিয়ে খুব একটা জটিলতা দেখা যায়নি। কিন্তু নতুন এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে বেশ ঝামেলা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ ঢালিউড কিং খান।

এ বিষয়ে শাকিব বলেন, ‘ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, শুরুর দিকে সিনেমাটি বাংলা নববর্ষে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জেনেছি, কেউ কেউ নাকি সিনেমাটি ওই সময় মুক্তির ব্যাপারে আপত্তি জানায়। মুক্তির আগে সিনেমাটির ছাড়পত্র পাওয়ার ব্যাপারে বাঁধা তৈরি করা হয়। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেনেছি, শাকিব খানের সিনেমা মুক্তি পেলে নাকি কে বা কারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আরও কত কাহিনি! শেষ দুই বছর চলচ্চিত্রের গুটি কয়েক মানুষের কার্যক্রম দেখে আমার মনে হয়, আমার সিনেমা মুক্তিতে তাদের যত অ্যালার্জি। দেখে মনে হয়, আমাকে এ দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে! তা না হলে আমার কোনো সিনেমা মুক্তি পাওয়ার সময় কেন এত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে?

এসএ/