কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে: তোফায়েল
প্রকাশিত : ১১:২২ পিএম, ৬ মে ২০১৮ রবিবার
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছে, ‘২০২১ সালের মধ্যে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’
রোববার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ঢাকাস্থ কানাডা হাই কমিশন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী “শোকেস কানাডা-২০১৮” নামে ট্রেড অ্যান্ড এডুকেশন ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত বছর কানাডায় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। কানাডা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। ২০০৩ সাল থেকে কানাডা বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক বাংলাদেশ রফতানি পণ্য সংখ্যা বাড়াতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, সফ্টওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা কানাডায় রফতানি করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে কানাডায় বাংলাদেশের পণ্য রফতানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এবং ইপিজেড-এ বেশ কিছু বিনিয়োগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কানাডার বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার এ মুহুর্তে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। কানাডার বিনিয়োগকারীরা এ বিনিয়োগ সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
ঢাকাস্থ কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেনন, কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. কামাল উদ্দিন, গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডা এর সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল ডেভিড হার্টম্যান বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনের পর বাণিজ্যমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, ট্রেড অ্যান্ড এডুকেশন ফেয়ারের এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৭ মে পর্যন্ত। মেলায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শণার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকবে।
কেআই/টিকে