হোয়াইট হাউজে মেলানিয়া ট্রাম্পের দিনকাল
প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ৭ মে ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১২:১৫ পিএম, ৭ মে ২০১৮ সোমবার
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। সাধারণত মার্কিন ফার্স্ট লেডিদের হোয়াইট হাউজের জীবনযাপন নিয়ে খুব একটা তথ্য বাইরে আসে না। যদিও সবার আগ্রহ থাকে অনেক। তবে মেলানিয়া ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজের সাম্প্রতিক দিনকাল নিয়ে বেশ কিছু তথ্য ফলাও করে প্রচার হচ্ছে গণমাধ্যমে, যা আগ্রহ সৃষ্টি করছে পাঠকদের।
সাবেক পর্ন তারকা ডেনিয়েলস স্টর্মিসহ বেশ কয়েকজন নারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌনতার অভিযোগ এনেছেন। তাই অনেকদিন থেকেই সবার মধ্যে কৌতূহ্ল ছিল এটা জানতে যে, স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কেমন যাচ্ছে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সম্পর্ক। কেমন তাদের প্রতিদিনকার পথচলা?
মেলানিয়ার ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায় যে, ট্রাম্প ও মেলানিয়া রাতে আলাদা ঘরে ঘুমান। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ট্রাম্পের ঘুম ভাঙ্গলেও মেলানিয়ার ঘুম ভাঙতে আরও কিছুটা সময় লাগে।
ট্রাম্পের দিকে মনযোগ দেওয়ার বদলে ছেলে ব্যারনকে স্কুলের জন্য তৈরি করতেই সময় ব্যয় করেন মেলানিয়া। গুছিয়ে দেন ছেলের স্কুল ব্যাগ। ট্রাম্প ও মেলানিয়াকে একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না বললেই চলে। দু’জনের অবসর সময়েও তাদেরকে এক সঙ্গে দেখা যায় না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন বিশ্ব সামলাতে ব্যস্ত, মেলানিয়া তখন নিজের রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন বলেই দাবি মেলানিয়ার ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের।
বিভিন্ন নারীর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও নিজের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলতেই বেশি মনযোগী মেলানিয়া। সম্প্রতি বিভিন্ন কর্মসূচিতে একাই যাচ্ছেন তিনি। এমনকি আজ সোমবার হোয়াইট হাউজে এক সাংবাদিক সম্মেলনেরও আয়োজন করছেন মেলানিয়া। এ যেন অনেকটা ট্রাম্পের বলয় থেকে বের হয়ে আসার মতো।
সম্প্রতি দেশটির সাবেক ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশের অন্তষ্ট্যক্রিয়ায় একই উপস্থিত ছিলেন মেলানিয়া। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার সময় ট্রাম্পের হাত ছেড়ে দিতে দেখা যায় মেলানিয়াকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার তার হাত ধরতে চাইলেও নিজের হাত প্রতিবারই সরিয়ে নিয়েছেন ফার্স্ট লেডি।
মেলানিয়ার মুখপাত্র স্টিফেনি গ্রিসাম বলেন, সবসময়ই তার (মেলানিয়া) মনযোগ ছিল শিশুরা। আর আজকের এই যাত্রা (সাংবাদিক সম্মেলন) এই জন্য যে, আগামী তিন থেকে সাত বছরে মেলানিয়া কী ধরণের কাজ করবেন তা তুলে ধরতে। শিশুরা রোজ যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা নিয়ে মেলানিয়া কাজ করবেন বলেও জানান গ্রিসাম।
তবে মেলানিয়ার ব্যক্তিগত জীবন একান্তই তার উল্লেখ করে এই মুখপাত্র আরও বলেন যে, “তিনি একজন সম্ভ্রান্ত, ব্যক্তিগত ব্যক্তিস্বত্ত্বার অধিকারী। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন একাই দেখভাল করবেন। এখানে অন্য কারও হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই”।
প্রেসিডেন্টের সাথে মেলানিয়ার ‘ঠান্ডা’ সম্পর্কের বিষয়ে গ্রিসাম বলেন, “সরকারি সফর ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে তারা সময় দেন একে অপরকে। তবে তিনি (মেলানিয়া) একজন মা হওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও একজন স্ত্রী এবং ফার্স্ট লেডি হিসেবে তার দায়িত্বের ব্যাপারে তিনি সচেতন। আর এটাই বাস্তবতা। এর বাইরে যা শোনা যাচ্ছে তা গুজব”।
তবে ট্রাম্পের এক বন্ধু বলছে ভিন্ন কথা। বিবিসিকে তিনি বলেন যে, “দুই একে অপরকে খুব সময় দেন। দেন না বললেই চলে”।
হোয়াইট হাউজের এক সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি আরও জানায় যে, হোয়াইট হাউজে মেলানিয়া এক ধরণের অদৃশ্য দেয়াল তৈরি করছেন। হোয়াইট হাউজের পূর্বাংশে (ইস্ট উইং) নিজের অফিসে সংস্কারের কাজ করিয়েছেন তিনি। পশ্চিমাংশ অর্থ্যাত ওয়েস্ট উইং-এ খুব একটা যান না তিনি। কোন আনুষ্ঠানিকতা থাকলে তবেই যান। এই অংশেই থাকেন ট্রাম্প এবং ট্রাম্পের আগের ঘরের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প। ইভানকার সাথেও মেলানিয়ার সম্পর্কও ভালো না।
প্রসঙ্গত, মেলানিয়া ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী। দুই জনের মধ্যে বয়সের ব্যবধানও অনেক। ট্রাম্পের বয়স ৭১ আর মেলানিয়ার ৪৮।
সূত্র : এনডিটিভি।
/এআর /