ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তিন জেলায় বজ্রাঘাতে সাত জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৫:২০ পিএম, ৭ মে ২০১৮ সোমবার

তিন জেলায় বজ্রাঘাতে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রাঘাতে রাহেনা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব বামপাড়া গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাহেনা ওই বাড়ির মো. ছেরাজুল হক চৌধুরীর স্ত্রী।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, রাহেনা সোমবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে গেলে হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, বজ্রাঘাতে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।

শেরপুরে পৃথক বজ্রাঘাতে স্কুলছাত্রীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বেলা এগারোটার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

সকাল আটটার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বজ্রাঘাতে শারমিন (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং হালুয়াঘাট উপজেলার পাঘারিয়া গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে। সকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়ও একই উপজেলার বাঘবেড় গ্রামে বজ্রাঘাতে দুটি গরু মারা গেছে।

এছাড়াও শেরপুর সদর উপজেলার হালগড়া গ্রামে আব্দুর রহিম (৪০) নামে এক কৃষকের বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে। বেলা পৌনে এগারোটার দিকে তিনি মাঠে ধান কাটছিলেন। এসময় বজ্রাঘাত হলে তার মৃত্যু হয়। নিহত রহিম সদর উপজেলার হালগ্রামের আকু শেখের ছেলে। শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সকাল পৌনে দশটার দিকে নকলা উপজেলার মোজারচর গ্রামে শহিদুল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবক মাঠ থেকে কাটা ধান নিয়ে বাড়ি আসার পথে বজ্রাঘাতে মারা যান। নিহত শহিদুল ইসলাম নকলা উপজেলার মোজারচর গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে।

নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎক রবিউল ইসলাম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বকচর গ্রামে বেলা সাড়ে দশটার দিকে কুব্বত আলী (৬০) নামে এক কৃষক ধান কাটার সময় বজ্রাঘাতে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক (আরএমও) মো. আনিসুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলে বজ্রাঘাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছেন। সোমবার সকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের বজ্রঘাতে স্কুলছাত্র সামাদ মিয়ার (১৬) মৃত্যু হয়েছে। সামাদ সাদুহাটি আব্দুল মালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও খলিলপুর গ্রামের ফয়েজ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে বৃষ্টির সময় সামাদ বাড়ির পাশের মাঠে গরু চরাতে যায়। এ সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মৌলভীবাজার খলিলপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু বকর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাইক্কা বিল হাইল হাওরের জৈন্তা নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রাঘাতে মফিজ মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় তার ভাই রশিদ মিয়া (৪০) আহত হয়েছেন। তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হাইল হাওরের জৈন্তা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তাদের বাড়ি উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুণা গ্রামে। তারা মৃত ইসলাম উদ্দীনের ছেলে।

এছাড়া হাইল হাওর এলাকায় ঘাস কাটতে গিয়ে রফিক মিয়া (১৫) নামে এক কিশোর আহত হয়েছেন।

এসএইচ/