ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আতংক সৃষ্টির জন্যই ঘটনা ঘটাচ্ছে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী

প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ১১ জুন ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ১২:১৭ পিএম, ১১ জুন ২০১৬ শনিবার

গত ৩ বছরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চার জেলায় পীর, বাউলশিল্পী, ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান, পুরোহিতসহ ৭ জনকে হত্যা করেছে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। চাঞ্চল্যকর এসব মামলার কোনটিরই তদন্ত শেষ হয়নি। এর মধ্যে গত ছয় মাসেই খুন হয় ৪ জন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আতংক সৃষ্টির জন্যই ঘটানো হচ্ছে এসব। খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ায় গত ৩ বছরে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর হামলায় নিহত হয়েছেন এক পীর ও তার কিশোর ছেলে, বাউলশিল্পী, ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান, শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা, হোমিও চিকিৎসক ও হিন্দু পুরোহিত। ২০১৩ সালের ৮ আগস্ট খুলনার খালিশপুরে পীর তৈয়বুর রহমান ও তার কিশোর ছেলে নাজমুম মনিরকে জবাই করে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের নাগুড়তলা মাঠে বাউল উৎসবের আয়োজক জাকির খানকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার তেমন অগ্রগতি নেই। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ঝিনাইদহে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান সমির উদ্দিনকে হত্যা করে ধর্মান্ধগোষ্ঠী। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে, শেষ হয়নি তদন্ত। ১৪ মার্চ ঝিনাইদহে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর হামলায় নিহত হন স্থানীয় শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা আব্দুর রাজ্জাক। এ’ঘটনায় দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এখনো শেষ হয়নি মামলার তদন্ত। ২০ মে কুষ্টিয়ায় হোমিও চিকিৎসক মীর সানাউর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। এই মামলারও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সর্বশেষ ৭ জুন ঝিনাইদহের নলডাঙ্গায় পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসব হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য কি তা নিয়ে কথা বলেন, এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক। স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীকে মোকাবেলায় কঠোর হওয়া জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।