পাকিস্তানের অভিযোগ প্রত্যাখান বাংলাদেশের
প্রকাশিত : ০৮:২৩ এএম, ৮ মে ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৫০ এএম, ৮ মে ২০১৮ মঙ্গলবার
সদ্য সমাপ্ত ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে গৃহীত ঢাকা ঘোষণা নিয়ে পাকিস্তানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে ঢাকায় পাকিস্তানি হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ঢাকা ঘোষণায় কেবলমাত্র আয়োজক দেশ বাংলাদেশের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে।
এই অভিযোগের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা ঘোষণার মূল খসড়া ওআইসি সচিবালয় তৈরি করেছিল। পরে কিছু সদস্য দেশ, ওআইসির সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং স্বাগতিক দেশের পরামর্শে অতিরিক্ত অনুচ্ছেদ এতে সংযোজন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে গৃহীত হওয়ার আগে পরামর্শগুলো যুক্ত করা হয়। তবে পাকিস্তান ঘোষণার ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছে, তাতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সম্মেলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই হয়েছে ওআইসি`র নির্দেশনা অনুসরণ করে। ঢাকা ঘোষণাও গৃহীত হয় সবার মতামতের ভিতিতেই। এরপরও যদি কোনো সদস্য দেশের আপত্তি থাকে তা তারা ওআইসি মহাসচিবকে জানাতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ওআইসির আওতা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের প্রস্তাবকে ঘিরেই পাকিস্তানের এই গাত্রদাহ। যদিও বাংলাদেশের এই প্রস্তাবে তুরস্কসহ অংশগ্রহণকারী প্রায় সব সদস্য দেশ সমর্থন করেছে। এই সংস্কার বাস্তবায়নে তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণাও দিয়েছে সম্মেলনেই। এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশই এ প্রস্তাবের ব্যাপারে আপত্তির কথাও বলেনি।
বাংলাদেশের প্রস্তাবে বলা হয়, ওআইসিভুক্ত নয় কিন্তু যেসব দেশে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ওআইসি`র সদস্য রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশী সেসব দেশকে ওআইসি`র সঙ্গে সম্পৃক্ত করা উচিৎ। এর ফলে ওই দেশে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার ভালো কাজের সুফল ভোগ করতে পারবে। পরে এ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় ভারত, যুক্তরাজ্য ও কানাডাকে ওআইসি`র পর্যবেক্ষক দেশের মর্যাদা দেওয়ারও প্রস্তাব আসে।
এবারের সম্মেলনে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিশ্চিনা ফ্রিল্যান্ড বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচ/