ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

জাবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্রকাশ্য বিভক্তি

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:৪৯ পিএম, ৮ মে ২০১৮ মঙ্গলবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বর্তমান ও সাবেক উপাচার্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ফলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা। জানা গেছে, বিগত কয়েক মাস ধরে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের মধ্যে পারস্পারিক আস্থাহীনতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার সহ বিভিন্ন বিষয়ে মত পার্থক্যের কারণে এই বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই বিভক্তি আওয়ামী রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির অনুসারী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে বেরিয়ে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অনুসারী শিক্ষকরা গঠন করেছেন ‘বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ নামে নতুন একটি সংগঠন।

মঙ্গলবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত শুভারম্ভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরে নতুন সংগঠনের যাত্রা শুরু করে। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল আলমকে আহবায়ক ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক দায়িত্ব পালন করবেন, অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চেীধুরী ও অধ্যাপক ড. মুহম্মাদ হানিফ আলী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতি শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অপরাংশের সংগঠন ‘বঙ্গন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অমর একুশ’র পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


এদিকে, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ ইটিভি অনলাইনকে নতুন সংগঠন গঠনের বিষয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কখনো বিভাজনের শিক্ষা দেয়না। বর্তমানে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নামে আওয়ামীপন্থীদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন তারা কেন এহেন জঘন্য কাজ করেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার কাছে পরিস্কার।’

তিনি আরো বলেন, ‘দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ফারাজানা ইসলাম নিয়োগ পাওয়ার পর ক্ষমতার কুক্ষিগত করার জন্য এমন জঘন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’

টিকে