করজাল বিস্তার করে রাজস্ব আয় বাড়াতে চায় এনবিআর
প্রকাশিত : ১২:০৭ এএম, ৯ মে ২০১৮ বুধবার
আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে করহার না বাড়িয়ে করজাল সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত মধ্যহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের রাজস্ব প্রনোদনা দিলে সরকারের আয় কমে যায়। একদিকে প্রনোদনা,অপরদিকে সরকারের রাজস্ব আয়-দু’টি বৈপরীত্যমূলক বিষয়। এরপরও রাজস্ব প্রনোদনা দিলে-বিনিয়োগ বাড়বে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে, রফতানি সম্প্রসারিত হবে, সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়ন গতিশীল হবে। এতে করজাল বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়বে।’
বাংলাদেশকে চূড়ান্ত পর্যায়ে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে হলে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। শিল্পায়ন জোরদার করতে হবে। এজন্য আমরা বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছি। আগামী বাজেটে এসব বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকবে বলে তিনি ইঙ্গিত করেন।
তিনি আরও বলেন, কর সংক্রান্ত কোন বিষয়ে বাজেটে যা উল্লেখ থাকবে, সেটি পরিবর্তন করা যাবে না- এমন নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের স্বার্থে যদি কোথাও পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তাহলে বাজেটের পরও এসআরও জারি করে পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।
মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকি রোধে আগামী এক বছরের মধ্যে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) মেশিন সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক করা হবে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনেক ব্যবসায়ী ক্রেতার কাছ থেকে মূসক আদায় করলেও সরকারের কোষাগারে জমা দেয় না। তারা মূসককে ব্যবসার লভ্যাংশ মনে করে। ব্যবসায়ীদের এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এর আগেও ইসিআর মেশিন বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এখন এ বিষয়ে আর ছাড় দেওয়া হবে না। ইসিআর মেশিন সব প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে। তিনি বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থা পুরোপুরি অটোমেশন হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে ইসিআর মেশিন সংযুক্ত করা হবে-যাতে কেউ মূসক ফাঁকি দিতে না পারে।
কেআই/টিকে