ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি

যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ায় হতবাক বিশ্ব

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ এএম, ৯ মে ২০১৮ বুধবার

ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করায় বেজায় চটেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নেতারা হতবাক। তবে মার্কিনিরা চুক্তি থেকে সরে গেলেও চুক্তি বজায় রাখার পক্ষে ওই নেতারা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো এক যৌথ বিবৃতিতে তেহরানের প্রতি চুক্তিটি বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় আমরা ইরানকে সংযম প্রদর্শনের জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। এ চুক্তির আওতায় ইরানের দিক থেকে যেসব বাধ্যবাধকতা আছে, সেগুলো তারা যেন অবশ্যই মেনে চলে।"

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রেডরিকা মঘরিনি বলেছেন, ইরান যতক্ষণ পর্যন্ত এ চুক্তির বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ততক্ষণ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে। তবে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকার সরে আসার ঘোষণায় ইরান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। রুহানি বলেন, " যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করলো যে তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতির কোন মর্যাদা রাখে না।" ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করবেন এবং এ চুক্তির পক্ষে যেসব মিত্র দেশগুলো আছে, তাদের সাথে কথা বলবেন। সবকিছু ইরানের জাতীয় স্বার্থের উপর নির্ভর করবে বলে মি: রুহানি উল্লেখ করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস : ট্রাম্পের ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাশিয়া মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত দুই কোরিয়ার শান্তি প্রক্রিয়াকে সন্দেহের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এদিকে চুক্তি থেকে আমেরিকার সরে আসার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটিকে `মারাত্নক ভুল` হিসেবে বর্ণনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওবামা বলেন, ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি ভালোভাবেই কাজ করছিল।

২০১৫ সালে ইরানের সাথে যখন এ চুক্তি করা হয়েছিল তখন সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বারাক ওবামা যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন সে সময় ইরানের সাথে পৃথিবীর বৃহৎ শক্তিগুলো পরমানু চুক্তি করেছিল। সে চুক্তির মুল বিষয় ছিল, ইরান পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রাখবে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন ইরানের যে কোন পরমাণু স্থাপনায় যে কোন সময় পরিদর্শন করতে পারবে।

সূত্র: বিবিসি
এমজে/